বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজেও কোটি কোটির লেনদেন! এখানেও জড়িয়ে পার্থ

বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজেও কোটি কোটির লেনদেন! এখানেও জড়িয়ে পার্থ

 কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি ও ভর্তি কেলেঙ্কারির একাধিক মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য সহ সাতজন৷ কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে৷ ঘটনার গভীরে পৌঁছতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ৷ সেই সূত্রেই তাঁদের এক জন জানান, নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিতে এবং অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বিএড ও ডিইএলএড কলেজ থেকে যেমন কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল৷ পাশাপাশি টাকা নেওয়া হয়েছিল বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজের ক্ষেত্রেও।

আরও পড়ুন- যুব কমিটি থেকে বাদ পড়লেন দেবাংশু, কুণালের ফেসবুক পোস্টে কীসের ইঙ্গিত

দু’টি ক্ষেত্রেই ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আতস কাঁচে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য৷ প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে ইডি-র মামলায় জেলবন্দি মানিকের দাবি, এই গোটা কর্মকাণ্ডে পার্থও জড়িত।

স্কুলে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডি-র মামলায় বুধবার বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতে ছিল ভার্চুয়াল শুনানি৷ সেই সময়ই তাঁদের বিরুদ্ধে বেসরকারি আইন ও ফার্মাসি কলেজ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন ইডি-র কৌঁসুলিরা। ইডি-র দাবি, এখনও পর্যন্ত এই মামলার তদন্তে নেমে পার্থ-অর্পিতা ছাড়াও তাঁদের আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রায় ১০৩ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। এদিন শুনানি শেষে বিচারক শুভেন্দু সাহা ফের পার্থ ও অর্পিতাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পার্থের আইনজীবী সেলিম রহমান এ দিন প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের জন্য কোনও আবেদন করেননি। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। নতুন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। ইডি সম্প্রতি মামলার যে-নথি জমা দিয়েছে, তার অধিকাংশ জায়গা অস্পষ্ট।’’ কার্যত একই অভিযোগ করেন অর্পিতার আইনজীবী। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘নথির কোন কোন জায়গা অস্পষ্ট, তা জানালে সেই সব অংশ ফের তুলে দেওয়া হবে।’’