বরাহনগর: বিধানসভা নির্বাচনের গেরুয়া প্রার্থী তালিকায় তারকা চমক তিনি। বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর জনপ্রিয়তার উপরেই ভরসা করেছে মোদী-শাহের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। নিজের কেন্দ্রে রবিবাসরীয় বেলায় প্রথম বার প্রচারে এসে উপচে পড়া ভিড় দেখলেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। জনগণের ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন বার্তাও।
অভিনয় জগতে পোড় খাওয়া পার্নো মিত্র কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় একেবারেই নতুন, আনকোরা। এর আগে কখনোই সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এদিন তা অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। বরাহনগরে গেরুয়া প্রার্থী পার্নো মিত্র স্বচ্ছন্দে বলেছেন, “অভিনয়ের মতো এটাও শিখে নেবো।”
এদিন বরাহনগরে প্রথম দিনের প্রচারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পার্নো মিত্র। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বিনোদন জগতে রূপোলি পর্দার বাইরে রাজনীতির এই কঠিন ময়দান কীভাবে সামলাবেন তিনি। উত্তরে পার্নো বলেন, “আমি যখন রূপোলি পর্দায় প্রথম কাজ করতে এসেছিলাম, তখনও অনেক বাঁধা ছিল। অনেক কিছু জানতাম না। প্রথম দিন এসেই ফাটিয়ে অভিনয় করতে পারিনি। সেভাবেই এটাও শিখে নেবো। এটা করতে আমার ভালোই লাগে।” বরাহনগরে জিতলে কর্মসূচি তৈরি করে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করা হবে, জানিয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞতা নয়, ভালোবাসা দিয়েই মানুষের মন জয় করবেন তিনি, আশাবাদী গেরুয়া প্রার্থী পার্নো মিত্র।
বরাহনগর বিধানসভায় এবার পার্নো মিত্রর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ যথেষ্ট কঠিন। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায়ের জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে। এছাড়া সংযুক্ত মোর্চার জোটের তরফে বরাহনগরে এবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন কমল কুমার মুখোপাধ্যায়। কঠিন প্রতিপক্ষ নিয়ে অবশ্য বিশেষ ভীত নন পার্নো। তিনি জানিয়েছেন, “আমি নতুন, অনভিজ্ঞ। তাপস বাবু অনেক বছর ধরে রাজ্যের মন্ত্রী। রাজনীতিতে ওনার অনেক অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমি সাধারণ মানুষ। আমি এটুকুই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে মানুষের জন্য সৎ ভাবে ভালোবেসে কাজ করবো”। বরাহনগরে এখন শেষ হাসি কে হাসেন, সেটাই দেখার।