জেনেভা: বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা নামক অতিমারি এখনই যাওয়ার নয়৷ বরং এই ভাইরাস শেষ হওয়ার এখনও ঢের দেরি আছে ৷ সোমবার এ কথা জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস৷
টেড্রসের কথায়, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বজুড়ে টানা ৬ সপ্তাহ ধরে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা কমেছিল ৷ তবে এখন গত ৭ সপ্তাহ ধরে দেখা যাচ্ছে এই গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী ৷ ৪ সপ্তাহ ধরে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্য়াও ৷ গত সপ্তাহে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, একই সপ্তাহে সংখ্যাটা অনেক বেশি৷ ‘ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন হু প্রধান৷ বিশ্বজুড়ে ৭৮০ মিলিয়নেরও বেশি টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভ্যাকসিন অবশ্যই একটি শক্তিশালী অস্ত্র, তবে একমাত্র নয়৷ তিনি বলেন, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, হাত ধোয়া, কোয়ারেনন্টাইন, আইসোলেশন এবং ঠিকঠাক যত্নের মতো বিষয়গুলি এই সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে পারে এবং জীবন বাঁচাতে পারে৷ তাই এই বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছেন টেড্রস ৷ তবে অতিমারি শেষ হতে যে এখনও অনেক দেরি আছে, তা স্পষ্ট হু প্রধানের কথাতেই৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে দেশ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা৷ এই অবস্থায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দ্রুত যাতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে ‘টিকা উৎসব’ পালনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ যদিও দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। টিকার এই সংকটের মধ্যেই দেশজুড়ে চলছে কোভিড ১৯-এর ‘টিকা উৎসব’। যদিও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, টিকার এই সংকটের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আলাদা করে কোনও কিছু করা সম্ভব নয়। তবে রাজ্যের সব বয়স্ক মানুষকে যাতে দ্রুত কোভিডের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়, তার চেষ্টা চলছে।