কলকাতা: শনিবার সকাল থেকেই শুরু গ্রামবাংলা দখলের লড়াই। সেই লড়াইয়ের শুরুটা সুষ্ঠ হল না৷ সকাল থেকেই দফায় দফায় অশান্তির খবর মিলেছে৷ গুলি-বোমা-মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনায় গতকাল রাত থেকে প্রাণ হারিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকের৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েতের বলি ৭৷
আজ সকালে বারাসাতের ১ নং ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায় ৪১ এবং ৪২ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী তাসলিমা বিবির সমর্থক আব্দুল্লা আলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের প্রার্থী মুন্না বিবির স্বামী রিয়াজুল আলি ওরফে রাজুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। এই আবহে উত্তেজনা ছড়ায় কদম্বগাছিতে৷ যদিও পরে জানা যায়, তিনি গুরুতর আহত৷
এদিকে কোচবিহারের ফলিমারিতে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। নিহতের নাম মাধব বিশ্বাস। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ এবং খড়গ্রামে তিন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে শাসক দল। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার অন্তর্গত নাজিরপুর এলাকায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম ইয়াসিন শেখ। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায় বাবর আলি নামক অপর এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখের দেহ৷
এখানেই শেষ নয়৷ অপর এক ঘটনায় মালদহের মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষের জখম আট৷ নিহতের নাম শেখ মালিক।