ইমরান খানের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে পাকিস্তানে যে বিশাল বিদ্রোহ চলছে তাতে মিশে যাচ্ছে না খেতে পাওয়া মানুষও। বিদ্রোহ যে তাদেরও। যেখানে আর্থিক অনটনে থাকা পাকিস্তানের বুকে এই ছবি ছিল স্বাভাবিক। ঠিক কী চলছে পাকিস্তানে বিদ্রোহের নামে দেখে নেওয়া যাক। ইমরান খানের গ্রেফতারের পর ইমরানের দল পিটিআইআইয়ের সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে জ্বলছে পাকিস্তান। বিভিন্ন সেনা কর্তাদের বাড়ি হামলা থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যেই যে ছবি সামনে আসছে-
• সেনা কর্তাদের বাড়তে ঢুকে খাবার লুঠ
• লুঠ হয়েছে মাংসের কোর্মা, ঠান্ডা পানীয় জল
• সেনা কর্তার ফ্রিজ থেকে বার করা হল সব্জি, ফ্রোজেন স্ট্রবেরি থেকে দই
• রান্নাঘর থেকে কেড়ে আনা হল সব্জির ঝুড়ি, সালাডের বাক্স
• চুরি করা হল পোষা ময়ূরও
মোটামুটি ভাবে যেভাবে পারছে সেনা কর্তা, কর্পস কামন্ডারদের বাড়িতে ঢুকে চালাচ্ছে লুঠ। এই ছবি দেখা গিয়েছিল শ্রীলঙ্কাতে। যেখানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে থেকে অন্দর, বিদ্রোহের আঁচ পড়েছিল। পাকিস্তানে ভিতরে বিদ্রোহের আই আবহ তৈরি হচ্ছিল বলেই মনে করা হচ্ছেষ ইমরানে গ্রেফতারি, সেই বিদ্রোহে আগুন ঢালল বলা যায়। বিক্ষুব্ধরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের সেনা কর্তারা জনগনের টাকায় বিলাসীতা করছেন। সেই টাকাই তাঁরা ফেরত নিচ্ছেন। যেন এক স্বঘোষিত বিদ্রোহ করছেন পাকিস্তানের আমজনতা। পাকিস্তানের এই লুঠতরাজের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে নেটিজেনদের কমেন্ট- পাকিস্তানে হয়ত লটারি লেগেছে। এর আগেও পাকিস্তানে আটার লাইনে নৈরাজ্যের ছবি ধরা পড়েছিল। এদিকে আমজনতা দেশের সম্পত্তি ধ্বংস করছে বলে উদ্বেগে পাক প্রশাসনের। সেনারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রতিরোধে। তারপরেও পাকিস্তান জ্বলছে। দেশের অবস্থা এতটাই সংবেদনশীল যে, দিশেহারা হচ্ছে পাক প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানের ছবি খুব বেশি ইতিবাচক নয়। যেখানে বার বার প্রশ্ন উঠছে, দেশের এই ভঙ্গুর পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শাহানওয়াজ শরিফের পাকিস্তান এতটা অগ্নিগর্ভ কীভাবে, দায় ইমরান খানের না শরিফের, প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেই।