শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে তলব করল নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসুক পাকিস্তান এবং তাদের মাটিতে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলির পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিক এবং তারমাধ্যমে অন্যদেশগুলিতে জঙ্গি হামলা চালানো বন্ধ করুক। এদিন নয়াদিল্লি আরও দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এবং দ্বিপাক্ষিক দায়বদ্ধতা মেনে যে কোনও উপায়েই তাদের মাটিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার বন্ধ করুক। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানের প্রতি একই দাবি জোরদারভাবে জানিয়েছে নয়াদিল্লি, যদিও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷
বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাকে লুকিয়ে থাকা জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে প্রায় তিনঘণ্টার গুলির লড়াই হয় নিরাপত্তাকর্মীদের, খতম করা হয় চার জঙ্গিকে। গুলির লড়াইয়ে দুজন পুলিশকর্মী আহত হন এবং ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। পুলিশের অনুমান, সামনের মাসেই সেখানে নির্বাচন রয়েছে, তার আগে কাশ্মীর উপত্যকায় ঘাঁটি গেরে সেখানে বড়সর নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গিরা। নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্রের খবর, তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২৬/১১ হামলার বর্ষপূর্তিতে হামলার ছক কষছিল জঙ্গিরা। তাদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি একে ৪৭ রাইফেল, তিনটি পিস্তল, ২৯টি গ্রেনেড সহ আরও অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম। এই নিয় এক সপ্তাহে দুবার পাকিস্তান হাইকমিশনের আধিকারিককে তলব করল ভারত। এর আগে,. গত শনিবার, জম্মু ও কাশ্মীরে পাক সেনার ব্যাপক গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে ডেকে পাঠায় নয়াদিল্লি। পাক সেনার গুলি বর্ষণের ফলে অন্তত পক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “অস্ত্রের ব্যাপক অংশ, অগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক থেকে প্রমাণ হয় যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে এবং স্থানীয় নির্বাচন ব্যাহত করতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভারত, পাকিস্তানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়ে হামলার চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছে, যে হামলা রোখা গিয়েছে একমাত্র ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্কতার জন্য৷” বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ভারত সব রকম পদক্ষেপ করবে ভারত সরকার।