লাহোর: যব পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া৷ না কোনও সিনেমার প্রেক্ষাপট নয়, এখানে সব চরিত্র বাস্তব৷ তবে একেবারে সিনেমার মতোই হাঁটু মুড়়ে প্রোপোজ৷ তার জন্য বড়সড় মূল্যও চোকাতে হল দুই পড়ুয়াকে৷ পাকিস্তানের লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভাঙার অপরাধে ওই দুই পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কিছুই গোপন থাকে না, সবই ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি দুই পড়ুয়ার প্রোপোজের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, হাঁটু গেড়ে বসে এক ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন এক ছাত্রকে। দু’জনের হাতেই প্রেমের প্রতীক বলে পরিচিত গোলাপ ফুলের তোড়া। ছাত্রটি মেয়েটির প্রোপেজালে সম্মতি দিয়েই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন৷ আর সেই দৃশ্য পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন তাঁদের বন্ধুরাও। কেউ হাততালি দিচ্ছেন, কেউ হই–হুল্লোড় করছেন। এই ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তা নজরে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার চিঠি লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম এবং বিধিভঙ্গের অভিযোগে দু’জন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বহিষ্কারের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি দু’জন পড়ুয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু দুই পড়ুয়ার কেউই কমিটির সামনে হাজির হননি। এরপরই দু’জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দুই পড়ুয়াকে ক্যাম্পাস চত্বরে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-ক্যাম্পাসেও তাঁদের ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দুই পড়ুয়াকে বহিষ্কারের খবর ভাইরাল হতেই তা ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়৷ প্রত্যেকেই এই কড়া পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন৷ নেটিজেনরা বহিষ্কারের ঘটনায় দুই পড়ুয়ার পাশেই দাঁড়িয়েছেন। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রামের স্ত্রী সানাইরা। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নিয়ম অবশ্যই আছে। কিন্তু ভালোবাসাকে বহিষ্কার করতে পারবেন না। আমাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা।’ অনেকেই বলেছেন, কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, মনের দরজা বন্ধ করবে কী করে?