ইসলামাবাদ: খেলতেন ক্রিকেট, হয়ে বসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ইমরান খানের। এমনকি দুদিন আগে পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে মনে হচ্ছিল এবার বুঝি গদি হারাতে হবে পাক প্রধানমন্ত্রীকে। অবশ্য অতদূর আর জল গড়াল না। শনিবারে আস্থাভোটেই বাজিমাত করলেন ইমরান খান।
দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের সেনেটে বিরোধীদের যৌথ প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ। তারপরেই আস্থা ভোটের আয়োজন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু এদিন সেই আস্থা ভোটে মোটামুটি সহজ জয় পেলেন তিনি। ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ১৭৮টি ভোট পেয়ে দেশের কাছে মান রক্ষা হল প্রাক্তন ক্রিকেটারের। আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত জেনে অবশ্য বিরোধীরা আগেই বয়কট করেছিলেন এই উদ্যোগ। ১১টি বিরোধী দলের জোট পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট এই আস্থা ভোটে বয়কট করেন। তবে ভোটের ফলাফলের পরেও তারা ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এদিনের আস্থা ভোটকে মানতে নারাজ বিরোধীরা। বিভিন্ন প্রভাবশালী সংস্থার চাপেই ভোটের ফলাফল এমন হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আবার নতুন করে ভোট আয়োজন করার কথাও বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত পরিস্থিতি এখন পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে।
আস্থা ভোটে জয়ের পর স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ইমরান খান। বিরোধীদের কথায় যে তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না, স্পষ্টই জানিয়েছেন সে কথা। ভোটের আত্মবিশ্বাসী শোনায় পাক প্রধানমন্ত্রীর গলা। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাকিস্তানের উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। সেই সঙ্গে বিরোধীদের গোলমালকেই সমস্ত সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খান দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজে থেকে আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন। এর আগে ১৯৯৩ সালে এ কাজ করেছিলেন নওয়াজ শরিফ।