কলকাতা: অন্য বছর এই দিনে কলকাতার রাস্তায় গাড়ি চলা দায় হয়ে ওঠে। কারণ রাজ্যের কোনা কোনা থেকে তৃণমূলের শহিদ দিবসের যোগ দিতে ধর্মতলা ময়দানে হাজইর হন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবার অতিমারির জেরে সেসব কিছুই হয়নি। কালীঘাটে নিজের বাড়িতে বসে মমতা ও অন্যান্য নেতাদের ভাষণ নিজেদের এলাকায় বসেই দেখেছেন ঘাসফুল দলের সভ্য সমর্থকরা। এটুকু বাদ দিলে অন্যান্য বছরের থেকে আলাদা কিছু নয় এবারের ২১ জুলাই।
আরও পড়ুন: কালীঘাটে শুরু, আর কালীঘাটেই শেষ! ২১-এর সভা নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন রাহুল সিনহা
২১-এর মঞ্চ থেকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরিকল্পনা পর্ব সেরে ফেলতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতির ঢালাও বন্যায় কখনও বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেশনের হাতছানি। কখনও উন্নয়নের কথা। কখনও আবার সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ। ২১-এর সভামঞ্চ প্রতিবারের মতো এবারও নেত্রীর কল্পতরু অবতারের দর্শন সারল। কিন্তু সব কথা হবে আর কর্মসংস্থান বাদ যাবে তা তো হতে পারে না। তাই সেই প্রসঙ্গও উঠে এল একঘণ্টার বক্তব্যে। কর্মসংস্থান নিয়ে এবছরই যে তাঁর সব কাজ সেরে ফেলার কথা ছিল তা জানিয়ে তিনি বলেন করোনা আর আমফানের জন্য তাঁর কাজ পিছিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দিনে ২৫ হাজার করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রাজ্যের, ঘোষণা মমতার
তিনি জানান, দেশের অন্যান্য রাজ্যে ৪৫ শতাংশ বেকার সংখ্যা বাড়লেও রাজ্যে তা ৪০ শতাংশ কমেছে। কারণ হিসেবে জানান, অন্যভাবে রাজ্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা চলছে। আর এই ‘অন্যভাবে’ শব্দবন্ধ নিয়েই কটাক্ষ শুরু হয়েছে বিরোধী মহলে। বিরোধীদের মতে, ‘আমার ছাত্র যৌবনের কর্মসংস্থান’ বলতে মমতা তৃণমূলের ক্রমী সমর্থকদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। আর সেখানে ‘অন্যভাবে’ অর্থে তিনি দলের কাজ করা বোঝাতে চেয়েছেন। তবে কী হলে কী হবে কিংবা কী হতে পারে তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে দামামা যে ভার্চুয়ালি বাজিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।