নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর আবহে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ কিংবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকেছে অনলাইনের দিকেই। বিশেষত বেসরকারি স্কুল কিংবা কলেজগুলিতে অনলাইনেই পুরোদমে চলছে পড়াশোনা। এবার সেই অনলাইনের দিকে ঝুঁকতে দেখা গেল সরকারকেও।
এবছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা হবে অনলাইন মাধ্যমেই, খবর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে৷ কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট (Common Eligibility Test) বা সেট (CET) , যার দ্বারা কেন্দ্র সরকারের অধীনে চাকরির জন্য প্রার্থী বেছে নেওয়া হয়, সেই পরীক্ষা গোটা দেশ জুড়ে ২০২১ সাল থেকেই হবে অনলাইনে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং নতুন এই ব্যবস্থার ঘোষণা করেছেন। বস্তুত দেশে চাকরির পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সেট (CET)। প্রতিবছর দেশ জুড়ে বহু চাকরি প্রার্থী এই পরীক্ষায় বসার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এই পরীক্ষা অন্যান্য বেশিরভাগ চাকরির পরীক্ষার মতোই শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে লিখিত ভাবে নেওয়া হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্র সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসেন। তারপর অপেক্ষা করেন ফলের জন্য।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘দ্য ন্যাশানাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (NRA)কে সেট পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে ইউনিয়ন ক্যাবিনেট।’’ শুধু তাই নয়, এরপর এই নতুন ব্যবস্থার সুবিধাগুলিও বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর ফলে দেশের প্রতিটা জেলাতেই থাকবে অন্তত একটা করে পরীক্ষাকেন্দ্র। যার ফলে এবার থেকে দূরের পরীক্ষার্থীরাও সহজে পরীক্ষা দিতে পারবেন।’’ NRA হল একটি বহুমুখী সংস্থা যা কেন্দ্র সরকারের অধীনে গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি-এর চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করবে। এর ফলে চাকরির ক্ষেত্রে আরও বেশি করে শুধু মাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ সম্ভব হবে। আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। দেশের বেকারত্বের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি জানিয়েছেন, “মহিলা এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম চাকরিপ্রার্থীদের নতুন এই ব্যবস্থায় খুবই সুবিধা হবে। যাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই, তারাও এর মাধ্যমে সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।” উল্লেখ্য, ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন ব্যবস্থায় প্রথম সেট পরীক্ষা চালু করা হবে বলে জানা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷