হাওড়া: জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র নিতে দাঁড়াতে হবে না লাইনে, অনলাইন মারফত আবেদন করা যাবে করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে হাওড়া পুরনিগম। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে সংস্থা।
গোটা হাওড়া শহর জুড়ে করোনার দাপট বেড়েছিল অনেকটাই। জেলার পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনের তরফে একাধিক অঞ্চলে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাননি পুরনিগমের কর্মীরাও। যদিও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে, মাস্ক পরে, নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করে জনসাধারণকে এইসব শংসাপত্র দিচ্ছিল পুরনিগম। কিন্তু তাতেও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিড় কমাতে জন্ম মৃত্যু শংসাপত্র এখন থেকে অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করল হাওড়া পুরনিগম।
আবেদন অনলাইনে করা গেলেও ওই শংসাপত্র হাতে পেতে গেলে কি করতে হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি পুরনিগম তরফে। অর্থাৎ শংসাপত্র অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে নাকি সেটি পুরনিগমে গিয়েই আনতে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি পুরনিগম। পুরনিগমের এক আধিকারিকের কথায়, এখনও প্রযুক্তিগত কাজ চলছে, কিছুদিন পরেই সব কিছু জানা যাবে। যদিও ইতিমধ্যে এই খবর পেয়ে খুশি হাওড়া জেলাবাসীরা। অনেকের মতে, এমনিতেই এই শংসাপত্রের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়তে থাকতে হত। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভয়ের সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি অনলাইন ব্যবস্থার ফলে পুরনিগমের কর্মীদের ওপর কাজের চাপ অনেকটাই কমবে।
আগে পুরনিগম থেকে ফর্ম কিনে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে হত। এখন থেকে অনলাইনে ফর্মের দাম দিতে হবে কিনা জানা যায়নি। আগেই লাইসেন্সের আবেদন অনলাইন মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করেছিল হাওড়া পুরনিগম। জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্রের ক্ষেত্রেও আগেই অনলাইন প্রযুক্তি আনার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্যই পিছিয়ে গিয়েছিল প্রকল্পের কাজ।