কলকাতা: ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ দাবিতে তোলপাড় ফেসবুক৷ সুদীপ রাহা, সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো একাধিক নেতার ফেসবুকে এই সংক্রান্ত পোস্ট দেখা গিয়েছে৷ এবার ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ ফেসবুক ক্যাম্পেন নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ জানান, দলনেত্রীর অনুমতি নিয়েই এই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি৷ এদিন তিনি সাফ জানান, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্যাম্পেন চলছে তৃণমূল কংগ্রেস তা অনুমোদন করে না৷
আরও পড়ুন- দল তাড়ালে চলে যাব, সিনেমায় অফার আছে! বড় ইঙ্গিত মদনের
এ প্রসঙ্গে ববি হাকিম আরও বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি এক পদ বলে যে ক্যাম্পেনটা চলছে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তা অনুমোদন করে না। নেত্রীর মুখে যে কথা বসানো হচ্ছে বা যে ক্লিপ দেখানো হচ্ছে তারপরেও কিন্তু আরও চারটি লাইন বলেছিলেন আমাদের নেত্রী। চেয়ারপার্সন যা ঠিক করবেন, তিনি তা পরে পরিবর্তন করতে পারেন। নতুন করে আমাদের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর এখনও আমাদের কয়েকজন ছাড়া পরিপূর্ণ কমিটি গঠন হয়নি। সভানেত্রী নতুন করে নীতি নির্ধারণ করবেন এবং সেই মোতাবেক পার্টি চলবে। কিছু ক্লিপিংস নিয়ে যাঁরা এই প্রচার করছেন তাঁরা পার্টির স্বার্থে তা করছেন না। সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের দলের সর্বধার্য।”
ফিরহাদ আরও বলেন, “আমাদের দল শৃঙ্খলাবদ্ধ। সভানেত্রী পার্টি চালানোর জন্য যখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা নিতে পারেন৷ আবার প্রয়োজনে সেই সিদ্ধান্ত বদলও করতে পারেন।” তাহলে যাঁরা এখন এই প্রচারে নেমেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত নেবে দল? ববি জানান, ‘‘কাউকে পোস্ট করতে দেখলে তা সরিয়ে নিতে বলব। কিন্তু বলার পরেও কেউ যদি ওই পোস্ট না সরান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আলোচনা সাপেক্ষে পদক্ষেপ করা হবে৷ দলের স্বার্থে দলের অন্দরে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এখানে উল্লেখ্য বিষয় হল, সম্প্রতি এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, “দলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে।”