নয়াদিল্লি: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট৷ তার ঠিক আগে আরও একবার ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকরের করতে তৎপরতা শুরু করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই সংসদের পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এজন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
সূত্রের খবর, এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই আইন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে৷ এদিকে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। টানা পাঁচ দিনের এই অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত বিলের পাশাপাশি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে বিল ও মহিলাদের সংরক্ষণ কোটা সংক্রান্ত বিল পেশ করা হতে পারে।
তবে অন্যান্য বিলকে ছাপিয়ে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিলটি। ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর অর্থ সারাদেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া৷ অর্থাৎ গোটা দেশে একযোগে লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে খরচ এবং সময় অনেকটা সাশ্রয় হবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ করার বিষয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করতে আইন কমিশনের দ্বারস্থ হবে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘এর থেকে যে অর্থের সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় করা যেতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও ত্বরাণ্বিত হবে।’’ বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা জানিয়েছেন। সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পাশাপাশি ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানোর চেষ্টা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিশেষ অধিবেশনেইরিপোর্ট পেশ করতে পারে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। যদিও বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে, লোকসভার জোয়ারে ভেসে যাবে বিধানসভাগুলি৷ এই বিলের বিরোধিতা ‘ইন্ডিয়া’৷ তাঁদের অভিযোগ, এই নীতির মাধ্যমে ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে মোদী সরকার।