আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করল সরকার! নজরে কোভিড পরিস্থিতি

এর আগে রাজস্থান সরকার এবং কর্ণাটক সরকারও আতশবাজি নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

ভুবনেশ্বর: আর কিছুদিন পরেই দীপাবলি। আলোর উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় দেশবাসী। যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি জেরে উৎসবে শামিল হতে দ্বিধাগ্রস্ত বোধ করছে অধিকাংশ মানুষ। কারণ উৎসব মৌসুমের ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেই রাজ্যে আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ওড়িশা সরকার। দীপাবলীর মরসুমে ব্যবহার করা যাবে না কোনো রকম বাজি। এর আগে রাজস্থান সরকার এবং কর্ণাটক সরকারও আতশবাজি নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওড়িশা সরকার। মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আতশবাজি থেকে যে গ্যাস নির্গত হয় তাতে অনুগত থাকে নাইট্রাস অক্সাইড, সালফার অক্সাইড কার্বন মনো অক্সাইড। এতে সাধারণ মানুষের শরীরের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এখন বাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আতশবাজির কারণে যদি সাধারন মানুষের শরীর আরো খারাপ হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই করোনার প্রকোপ বাড়বে বলে আশঙ্কা। সেই দিকে নজর দিয়েই আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। 

অনেক আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল, উৎসব মরসুমে আতশবাজি পোড়ানোর ফলে পরিবেশ আরো দূষিত হবে, বায়ু দূষণের মাত্রা প্রতিবছরের মতো এবছরও বাড়বে। তবে এই বছর অন্যান্য বছরের থেকে একদমই আলাদা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য সর্বত্র উদ্বেগ। অন্যদিকে কোমর্বিডিটির কারণে বাড়তি আতঙ্ক রয়েছে মানুষের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে আতশবাজির গ্যাসে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই বাড়তি ঝুঁকি নিতে চায় না ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক সরকার। সেই কারণেই আতশবাজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও আরো বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।রাজস্থান সরকারের আতসবাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরই কর্ণাটকও একই পথ অবলম্বন করে। এবার সেই পথে হাঁটল ওড়িশা সরকারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *