police observers
নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠুভাবে লোকসভা ভোট সম্পন্ন করা। তার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করছে না কমিশন। খুঁটিনাটি সমস্ত দিকেই কড়া নজর রাখছেন কমিশনের কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছটি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নিয়োগ করা হয়েছে পুলিশ পর্যবেক্ষক। এছাড়া সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ পর্যবেক্ষক হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অলোক সিংহ। আর বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অনিল কুমার শর্মা। নির্বাচনে তাঁদের উপর কী দায়িত্ব থাকবে সেটা বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, পর্যবেক্ষকরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রধান অফিসে থাকবেন। প্রয়োজনে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে যাবেন। সেই সূত্রে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করবেন তাঁরা। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকা আধিকারিকদের উপর নজরদারির পাশাপাশি কোনও ঘটনা নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে রিপোর্টও চাইতে পারবেন তাঁরা। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি থাকবে পর্যবেক্ষকদের। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট হবে। সেদিন সীমান্তবর্তী কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন হবে জলপাইগুড়িতেও। তবে কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো।
কোচবিহারে নিত্য অশান্তির ঘটনা ঘটে। তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত উত্তপ্ত হয় কোচবিহারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আর প্রত্যেকটি ঘটনার পরই শাসক ও বিরোধী একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। তাই এই লোকসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাড়তি নজরদারি থাকবে পর্যবেক্ষকদের। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করাই তাঁদের প্রধান কাজ। উল্লেখ্য নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণভাবে রক্তপাতহীন ও হিংসা মুক্ত নির্বাচন করানোর উপর তাঁরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেনজির হিংসা দেখেছে রাজ্য তথা গোটা দেশ। ৫০ জনের বেশি রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয় গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে। সেই ঘটনা রুখতে বদ্ধপরিকর কমিশন। তাই দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ করা হল বিশেষ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষককে।