অনুভূতিই নেই, কটাক্ষের মুখে নুসরত, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে সুযোগ নিয়ে অকপট সুদীপ্তা

অনুভূতিই নেই, কটাক্ষের মুখে নুসরত, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে সুযোগ নিয়ে অকপট সুদীপ্তা

কলকাতা: মন ভালো নেই তারকা জুটি নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্তের৷ সদ্যই আদরের পোষ্যকে হারিয়েছেন তাঁরা৷ সেই খবরই ইনস্টাগ্রামে জানান অভিনেত্রী নিজেই। ‘হ্যাপি’-কে নিয়ে রবিবার আবেগঘন পোস্টও করেন নায়িকা। এর ঠিক পরের দিন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নতুন একটি পোস্ট করেন নুসরত। ব্যস! সেই পোস্ট দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড়। ছোট পোশাকে নায়িকাকে দেখেই কটু মন্তব্যের হিড়িক৷ অনেকেরই সাফ কথা, নুসরতের এই কান্নাকাটি লোকদেখানো। কোনও অনুভূতিই নেই অভিনেত্রীর।

যদিও কোনও কটাক্ষেরই সরাসরি জবাব দেননি নায়িকা৷ তবে আকার-ইঙ্গিতে অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নায়িকা লেখেন, “অন্যের জীবন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে বুঝতে হবে তাঁরা আসলে নিজের জীবনে একদমই সুখী নন।” নুসরতকে নিয়ে চর্চা যদিও প্রথম নয়। আগেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে।

সন্দীপ্তা

এদিকে, প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ব্যক্তিগত সমীকরণ নিয়ে চর্চায় অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন৷ দীর্ঘ ১০ বছরের কেরিয়ার৷ টানা সিরিয়ালে অভিনয়ের পর সচেতন ভাবে ছোট পর্দা থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। তিনি আর প্রতিদিন বোকা বাক্সে ধরা দেন না৷ তবে তাঁকে দেখা যায় মুঠোফোনে৷ এরই মাঝে স্টুডিয়োপাড়ায় জোর গুঞ্জন, এ সবই নাকি হচ্ছে প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সমীকরণের দৌলতে। সত্যি কি তাই? এ প্রসঙ্গে প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে সন্দীপ্তা বলেন, ‘‘আমি যখন স্টার জলসায় টানা চারটে সিরিয়াল করেছিলাম, তখন অনেকেই বলেছিলেন চ্যানেলে নাকি আমার শেয়ার আছে। ওখানে অভিনেতা অভিনেত্রীদের আমার কথার ভিত্তিতে বাছা হয়। তখন খুব হাসি পেয়েছিল। ‘হইচই’-তে কাজ করা নিয়েও কথা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে তো আমি ‘জি ফাইভ’-এ কাজ করেছি। আর এখানে বছরে একটা করে কাজ করেছি। এত বছরের কেরিয়ারে আমি এই কাজগুলো পাওয়ার যোগ্য নয় কি? এর জন্য কি সমীকরণ দরকার! আমি এটা বুঝি, লোকে কিছু না কিছু বলবেই। হয়তো এটাই তাদের প্রকৃতি, হয়তো হিংসা। তবে যত কথা হবে, তত বুঝব, সঠিক পথে আছি। আরও আলোচনা হোক।’’

এদিকে, টেলিকম সংস্থার বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাশা ছেত্রী ‘উধাও’ হয়ে গেলেন বিনোদন জগত থেকে৷ এক সময় ভারতের নামী টেলিকম সংস্থার প্রচারের মুখ হয়ে ওঠেন সাশা। বলিপাড়ার সঙ্গে যোগ না থাকলেও নজর কেড়েছিলেন তিনি৷ টেলিভিশনের পর্দা থেকে রাস্তার মোড়ে বড় মাপের হোর্ডিং— সর্বত্রই দেখা যেত সাশাকে। তাকে দিয়ে প্রচার করিয়ে লাভের মুখও দেখেছিল ওই টেলিকম সংস্থার। এক সময় প্রভাসের মতো অভিনেতার সঙ্গে একই ছবিতে কাজ করার সুযোগও পান সাশা৷

দেশের এক নামী টেলিকম সংস্থা তখন প্রচারের জন্য নতুন মুখ খুঁজছিল। সাশাকে দেখে তাদের পছন্দ হয়৷ বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাবও দেওয়া হলেও প্রথমে রাজি হননি সাশা। কারণ বিজ্ঞাপনের জন্য চুল ছোট করতে বলা হয়েছিল তাঁকে৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ওই বিজ্ঞাপনে কাজ করেন তিনি৷

সশা

তবে টেলিকম সংস্থার তরফে এতটাই বিজ্ঞাপনের প্রচার করা হয়েছিল যে অনেকেই সাশার প্রতি বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমেও সাশাকে আক্রমণ মুখে পড়তে হয়৷ এর পরই টেলিকম সংস্থা সেই বিজ্ঞাপনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

দীর্ঘ বিরতির পর ২০২১ সালে ফের সাশার সঙ্গে কাজ করে ওই টেলিকম সংস্থাটি। শিলংয়ে গিয়ে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংও করেন৷ কিন্তু, সে বারও কটূক্তির শুনতে হয়। এখন আর বিজ্ঞাপনে দেখা যায় না তাঁকে৷ বিজ্ঞাপনের দুনিয়া থেকে দূরেই রয়েছেন সাশা।