কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মাঝেই কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সদের নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছিল। প্রয়োজনীয় একাধিক জিনিস যেমন পিপিই কিট, মাস্ক ইত্যাদি না পাওয়ার জন্য বিরোধ করতে থাকেন নার্সরা। পরবর্তী ক্ষেত্রে অনেক হাসপাতাল থেকে তারা ইস্তফা পর্যন্ত দেন। এখনো সেই সমস্যা বহাল। সেই কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে সিনিয়র নার্সদের জোর করে ওয়ার্ড ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে নতুন নার্সদের রিক্রুট করে করোনাভাইরাস আইসিইউ ওয়ার্ডে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে, যা আদতে আশঙ্কা আরো বাড়াচ্ছে।
একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে নার্সদের যে বিরোধ দেখা গিয়েছিল তার পরে আইসিইউ ওয়ার্ডে সমস্যা বেড়েছে। যারা ইস্তফা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নার্স। আর এখন যাদের রিক্রুট করা হচ্ছে তাদের অতটা অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা আইসিইউর স্টাফদের রিপ্লেস করতে পারছে না। সেই কারণে সমস্যা আরও বাড়ছে দিন দিন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ও সিনিয়র নার্সদের ওয়ার্ড ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে। তথ্য বলছে, আমরি হাসপাতাল বিগত এক মাসে ৮০ জন নার্সকে রিক্রুট করেছে, তাদের আইসিইউ ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, পিয়ারলেস হাসপাতালে প্রতি শিফটে ১২-১৩ জন নার্স রয়েছে তাদের ২১ জন আই টি ইউ রোগীদের জন্য। যেখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিটিকাল পেশেন্টের জন্য একজন নার্স থাকার কথা।
এছাড়াও আর এন টেগর, চাণক্য হাসপাতাল, সিএমআরআই সহ একাধিক হাসপাতালের চিত্রটা প্রায় সমান। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে সংক্রমণের হার কম এবং সুস্থতার হার বেশি, তবুও পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক তা বলা কখনোই যাবে না। এক্ষেত্রে হাসপাতালে পরিষেবা যদি বিঘ্নিত হয়, বা সংক্রমণের মাত্রা যদি হাসপাতালে বেশি ঘটে, তাহলে পুনরায় আতঙ্কিত হতে বেশি সময় লাগবে না রাজ্য তথা দেশবাসীর।