elderly people in india
নয়াদিল্লি: চিনকে পিছনে ফেলে দ্রুত দেড়শো কোটি জনসংখ্যার গণ্ডি ছোঁয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত৷ জন বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কার মধ্যেই মাথাচারা দিল নতুন এক উদ্বেগ। এর কারণ বার্ধক্য বৃদ্ধি৷ রিপোর্ট বলছে, ভারতে মহিলা পিছু প্রজনন ক্ষমতার হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট বা টিএফআর) ক্রমেই কমছে। প্রজনন ক্ষমতার হার এই হারে কমতে শুরু করলে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৫০ সালে ভারতে টিএফআর কমে দাঁড়াবে ১.২৯। শতাব্দীর শেষ ভাগে তা একেবারে তলানিতে ঠেকবে। সেই সময় টিএফআর হবে ১.০৪। এর ফলে দেশে নবীনের চেয়ে বাড়বে বয়স্কদের সংখ্যা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বয়স্কদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশের কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ল্যানসেট। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে ভারতে টিএফআর ছিল ৬.১৮। ২০২১ সালে তা কমে হয় ১.৯১৷ ভবিষ্যতে এই হার আরও কমবে। জনসংখ্যায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রজননক্ষম মহিলাপিছু সন্তানের সংখ্যা ২.১ হওয়া উচিত। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে সেই হার অনেকটাই কম। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই ভাবে জন্মহার কমতে থাকলে, তা জনসংখ্যার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করবে।