করোনা আতঙ্কের মধ্যে NRC নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

একদিকে করোনা আতঙ্কে তোলপাড় দেশ। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ব্যস্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কে দেশের নাগরিক, আর কে নাগরিক নন, তা জানার জন্যই এনআরসি দরকার, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়েই এফিডেভিট দাখিল করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অথচ মাসখানেক আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর করার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবুও মাসখানেকের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্তে জনসাধারণের মনে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে।

নয়াদিল্লি: একদিকে করোনা আতঙ্কে তোলপাড় দেশ। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ব্যস্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কে দেশের নাগরিক, আর কে নাগরিক নন, তা জানার জন্যই এনআরসি দরকার, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়েই এফিডেভিট দাখিল করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অথচ মাসখানেক আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর করার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবুও মাসখানেকের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্তে জনসাধারণের মনে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে।

করোনার জেরে এনআরসি নিয়ে আলোচনা একটু স্তিমিত হলেও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করেছে, কারা নাগরিক, আর কারা নাগরিক নন, তা চিহ্নিত করা যেকোনও সার্বভৌম রাষ্ট্রেরই প্রয়োজনীয় অনুশীলন। অর্থাৎ এনআরসি-র প্রসঙ্গ। এনআরসি হল এমনই একটি অনুশীলন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের হলফনামায় এই কথাই বলেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে এই ধরনের হলফনামা যে এনআরসি চালু করারই প্রক্রিয়া, মনে করছে বিশিষ্টমহল। অথচ এনআরসি আদৌ চালু হবে কি না, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণেও গরমিল পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট দাখিল করার বিষয়টি এনআরসি নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে তুলল বলেই মত জনগণের একাংশের।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, অসমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অসমে এনআরসি হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে এনআরসি লাগু হবে কি না, তা নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনও আলোচনাই হয়নি। তার কয়েকদিন পরেই একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখন এনআরসি কোনও ভাবেই আসছে না। আর আমি নিজেও বলছি যে, এনআরসি নিয়ে সরকারের মধ্যে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।'

আবার গত বছরের শেষের দিকেই অমিত শাহের মুখে শোনা গেছে, 'শুধুমাত্র সারা দেশেই হবে না, এনআরসি প্রক্রিয়া অসমেও নতুন করে লাগু হবে।' এনআরসি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি দেশবাসীর মনে। বিরোধীদের একাংশ বলেছেন, এ তো একে অপরের বক্তব্য ভুল প্রমাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আমজনতা কাকে বিশ্বাস করবেন, আর কাকে করবেন না, সেটাই বুঝতে পারছে না। এমমকী, দু’জনেই পরিকল্পিতভাবে দেশকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =