নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ শুরু করার কথা। এদিকে ওই দিনই করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লক ডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে এনপিআর সংক্রান্ত কাজ সম্ভব নয়। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত স্থগিত এনপিআর।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে দ্রুত বাড়ছে, তাতে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ করার কথা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেই কথাই বলেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনও পথ নেই আমাদের হাতে। তাই জারি হল লক ডাউন পরিস্থিতি। তিনি ঘোষণা করেন, 'আজ রাত ১২টা থেকে গোটা দেশে লক ডাউন জারি হবে। ভারতকে বাঁচানোর জন্য, নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য আজ রাত ১২টা থেকে ঘর থেকে বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে জারি হবে লক ডাউন।' এই অবস্থায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ করা অসম্ভব। তাই প্রথম ধাপের জনগণনা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। করোনা পরিস্থিতি মিটলে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি আসার পরই শুরু হবে এই কাজ।
এর আগে ১ এপ্রিল জনগণনার কথা ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এনপিআর প্রক্রিয়ার সঙ্গেই যৌথভাবে জনগণনার কাজ করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। গত বছরের ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই বিষয়ে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ওই বছরেই ডিসেম্বর মাসে সেই খাতে ৩৯৪১.৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এবারের জনগণনা হবে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি-নির্ভর। খাতায় কলমের পরিবর্তে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটেই আপলোড করা হবে তথ্য, সূত্রের খবর। প্রয়োজনে মোবাইল আপ্লিকেশনের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। তথ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা বাড়ি এসে সংগ্রহ করবেন এই তথ্য। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশন তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে কী ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে এই প্রক্রিয়ায়, সেই সম্পর্কে সম্যক ধারণাও দিয়েছে।