ঢাকা: বাংলাদেশে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে সে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী৷ সেই সঙ্গে পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান৷ এই উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ আজ ঢাকার প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন নমো৷ দেন মৈত্রীর বার্তা৷ নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
আরও পড়ুন- বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ভারতে আমন্ত্রণ, পড়ুয়াদের স্কলারশিপের নজরানা নমোর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারের সম্মানিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেন, এই পুরস্কারের মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একজন যোগ্য নেতা হয়ে উঠেছে৷ ভারত সরকার সুখে-দুঃখে সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে৷ কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে প্রকৃত বন্ধুর মতোই পাশে ছিল ভারত৷ এবারও ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ২ লক্ষ টিকা উপহার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী৷ হাসিনা আরও জানান, আমাদের স্বাধীনতা দিবস, শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশ যৌথভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু এবং বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী করা হবে৷
আরও পড়ুন- শত্রুকে হুঁশিয়ারি, সন্ত্রাসদমনে বাংলাদেশকে ঐক্যের বার্তা নমোর
তিনি বলেন, ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়৷ আমাদের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত ও ভৌগলিক সেতুবন্ধন রয়েছে৷ মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারত সরকার ও সে দেশের জনগন ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছে৷ এখনও ভারতের প্রতিটি রাজনৈতিক দল, ও জনগন দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের পাশে থাকে৷ ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনার অত্যাচারে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল৷ ভারত সেই শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল৷ তাঁদের খাদ্য দিয়েছিল, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল৷ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ থেকে অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে সব রকম সাহায্য ভারত সরকার করেছিল৷