সিওল: মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে ধুন্ধুমার কাণ্ড কিম-এর দেশে৷ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন গোটা বিশ্বে স্বৈরাচারী বলেই পরিচিত৷ হটকারী সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দ্বিতীয়বার ভাবেন না৷ সে কারণেই কমলা হ্যারিসের সিওল সফরের আগে দেশের পূর্ব উপকূলে ব্যালেস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করা নিয়েও দ্বিতীয়বার ভাবল না উত্তর কোরিয়া৷ মিসাইল নিক্ষেপের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাদের ‘চিরশত্রু’ দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ৷ জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি সত্যি বলে মেনে নিয়েছে। কমলা হ্যারিসের সফরের ঠিক এক দিন আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে আন্তর্জাতিক মহলে৷
আরও পড়ুন- যুদ্ধে পাঠানোর সিদ্ধান্ত পুতিনের! স্বামীদের ‘বাঁচাতে’ তাঁদের হাত-পা ভাঙতে মরিয়া রুশ-পত্নীরা
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল কিম-এর দেশ। রবিবার স্বল্প পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পিংয়ইয়ং৷ এর আগে গত জুন মাসে মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, ক্রমাগত পরমাণু পরীক্ষা করে চলেছে পিয়ংইয়ং। এই পরীক্ষার জন্য পরমাণু কেন্দ্রের তৃতীয় টানেলও তৈরি করে ফেলেছে কিম-এর দেশ। শুধুমাত্র চলতি বছরেই উত্তর কোরিয়া ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে দাবি তাদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে আমেরিকা৷ এই বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান কিম সিউং-কিউমের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর কোরীয় কমান্ডার পল লা কামেরার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছে। এদিকে, এই প্রথম হোয়াইট হাউজের কোনও প্রতিনিধি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া লাগোয়া ডিএমজি জোনে যাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনার জন্যে কিমকে আলোচনার টেবিলে বসাতে ব্যর্থ মার্কিন প্রশাসন৷ এর পরেই দক্ষিণ কোরিয়া সফরের এই সিদ্ধান্ত৷ এদিকে, উত্তর কোরিয়াতে নিযুক্ত মার্কিন দূত সাং কিম জানিয়েছিলেন, বাইডেন প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতেও দাবি করা হয়েছিল, কিম প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই আমেরিকার৷
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, উত্তর কোরিয়া পুংগিয়ে-রি পারমাণবিক পরীক্ষা অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ৩ নম্বর টানেল তৈরি করে ফেলেছে৷ মনে করা হচ্ছে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে সেখানে সপ্তম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করা হতে পারে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে৷ যদিও সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পিয়াংগং৷ আমেরিকা চক্রান্ত করে এই ধরনের ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে বলেই দাবি তাদের। প্রসঙ্গত, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই পরস্পরের সামরিক মিত্র। দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য ২৮ হাজার মার্কিন সেনাও সিওলে মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>