উত্তরাখণ্ড: হিন্দুত্ব প্রসঙ্গে ফের বিতর্কে বিজেপি। মোদির সৈনিকরা সবসময়ই যে হিন্দু রাষ্ট্রের কথা বলেন, তারই নিদর্শন দিলেন বিজেপিরই এক শাখা সংগঠন হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যরা৷ হিন্দু না হলে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। এই মর্মে একটি ব্যানার টাঙানো হয় বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের ঘণ্টা ঘরের একটি মন্দিরের সামনে৷ যা ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। শেষপর্যন্ত অবশ্য প্রবল বিতর্কের মধ্যে পড়ে সেটি সরানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলাও রুজু করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘণ্টা ঘরের ওই মন্দিরের সামনে এই ধরনের ব্যানার দেখে অবাক হয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা। ওই ব্যানারে লেখা ছিল, “এটি হিন্দুদের পবিত্র স্থান। এখানে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ।” ব্যানারের নিচে নিজেদের নাম-সহ ফোন নম্বরও লিখে দিয়েছিল হিন্দু যুব বাহিনী। জানা গিয়েছে, শুধু ওই একটি মন্দিরেই নয়, একাধিক হিন্দু মন্দিরের সামনে একই ধরনের ব্যানার সাঁটানো হয়। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই যারপরনাই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সমালোচনার ঝড়় বয় সমাজের বিভিন্ন স্তরে। বিতর্কের মুখে পড়ে অবশ্য মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও ব্যানারের কথা তাদের জানা নেই৷ যদিও প্রবল সমালোচনার ঝড়ে চাপে পড়ে সেটি সরানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তির ফোন নম্বর ওই ব্যানারটিতে ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৫৩এ ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মন্দিরে ঢুকে জল পান করে এক মুসলিম কিশোর। সেই ঘটনা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যক্তি তার নাম-পরিচয় জানতে চান। অভিযোগ, এর পরই ওই কিশোরকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন তিনি। গোটা ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন এলাকাবাসী। নিন্দার মুখে চাপে পড়ে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তড়িঘড়ি আসরে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তারা। যদিও তাতে নিন্দার ঝড় আটকানো যায়নি৷