storm
কলকাতা: হাতে আর এক মাসও নেই৷ দোড়গোড়ায় পুজো৷ তার আগে আকাশের মতিগতি দেখে মনে আশঙ্কার মেঘ জমেছিল উৎসব মুখর বাঙালির মনে৷ ভরা আশ্বিনে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ নিয়ে প্রমাদ গুনছিল বঙ্গবাসী। মনে প্রশ্ন জাগছিল, পুজোর আগে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সইতে হবে না তো? তবে সেই আশঙ্কা থেকে আপাতত নিস্তার। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুক্রবার মায়ানমার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। রাত পেরোনোর আগেই তা নিম্নচাপের রূপ নেবে। সেটি আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে স্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এসে পৌঁছবে৷ যার জেরে গাঙ্গেয় বঙ্গে ফের শুরু হবে বৃষ্টি৷ তবে ঝড়ের আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। কিন্তু, সেপ্টেম্বরের বিদায় বেলায় নিম্নচাপের হানা বঙ্গে বর্ষায় বিদায়কালকে আরও বিলম্বিত করবে বলেই জল্পনা৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েক দিন গাঙ্গেয় বঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ পাশাপশি বৃষ্টি হবে উত্তরেও৷ মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে নিম্নচাপের ধাক্কায় ওড়িশায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন৷ আগামী কয়েক দিন ভিজবে ঝাড়খণ্ড এবং বিহারও৷
এর আগেও সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছ। গত কয়েক বছরে এই সময় একাধিক ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। আবহবিদদের একাংশের অনুমান ছিল, সেপ্টেম্বরের শেষে বর্ষার বিদায় বেলায় মৌসুমি বায়ু দুর্বল হয়ে পড়লে নিম্নচাপ উত্তরোত্তর শক্তি বাড়াবে এবং ক্রমেই তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে৷ তবে শেষমেশ সেই আশঙ্কা কেটেছে বলেই নিশ্চিত করছে
৩৬