কলকাতা: শুক্রবার প্রকাশিত হল ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। প্রথম দশে স্থান পেয়েছে ১১৮ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার ৭৬ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হল৷ এবারেও জেলার জয়জয়কার৷ মেধা তালিকায় প্রথম দশে নেই কলকাতার কোনও স্কুলের পড়ুয়া। পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার সবচেয়ে বেশি৷ তার পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কালিম্পং। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সাফল্যের সঙ্গে পূর্ণ হোক তোমাদের আগামীর প্রত্যেকটি দিন।’’
২০২৩ সালের মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার পড়ুয়া দেবদত্তা মাঝি। কাটোয়া দুর্গাদাস চৌধুরী গার্লস স্কুলের ছাত্রী সে। ৭০০-র মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭ (৯৯.৫৭ শতাংশ)৷ যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদহের রিফাত হাসান সরকার। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। শুভম পাল বর্ধমান মিউনসিপ্যাল হাইস্কুল ও রিফত হাসান মালদহ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র।
৬৯০ পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ছ’জন। অর্ক মণ্ডল টাকি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, বেড়াচাঁপার সৌম্যদীপ মণ্ডল এবং মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন থেকে চারজন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তারা হল, স্বরাজ পাল, অর্ঘ্যদীপ সাহা, মাহির হাসান ও মহম্মদ ইমতিয়াজ।
৬৮৯ পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন বনগাঁ কুমুদিনি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রী সমাদৃতা সেন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অনীশ বারুই, পূর্ব মেদিনীপুর রঘুনাথ বাড়ি রামতারক স্কুলের তুহিন বেরা, বর্ধমান মিউনসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬৮৮ পেয়ে মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছেন ৯ জন৷ অরিজিৎ মণ্ডল ও শুভজিৎ দে দু’জনেই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র, এছাড়াও রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সারদা বিদ্যামন্দিরের সুপ্রভা আঢো, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলের ছাত্র ঈশান পাল, বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র রূপায়ণ পাল, চঞ্চলরানি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অনুশ্রেয়া দাস, মালদহের এসি ইনস্টিটিউশনের ছাত্র শুভজিৎ দেব, বনগাঁ কুমুদিনি উচ্চ বিদ্যালযয়ের ছাত্রী বিদিশা কুন্ডু।
চলতি বছর মাধ্যমিকে বসেছিল ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। পাশের হার ৮৬.১৬ শতাংশ। ২০ জনের পরীক্ষা বাতিল। ২ জনের রেজাল্ট আটকে রয়েছে প্রযুক্তিগত কারণে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>