ভাঙড়: পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে চোখ রাখলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙর এলাকার নাম বেশ পরিচিত। ভোট পূর্ববর্তী অশান্তিতে একাধিকবার উঠে এসেছে ভাঙরের নাম। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পা রাখার পরপরই সেই ভাঙর থেকেই ফের ভেসে এল রাজনৈতিক হুমকি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক ছাড়া এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কেউ বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না, এদিন এমনটাই দাবি করে বসেছেন ভাঙরের জনৈক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ভোটের আবহে এহেন মন্তব্যে যথারীতি শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘাসফুল নেতার এই হুমকির তীব্র বিরোধিতায় সামিল হয়েছেন বিজেপি এবং সিপিএম নেতৃত্বও। অবশ্য বিতর্কের চাপে রাতারাতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
সূত্রের খবর, আলোচ্য নেতার নাম মুদাস্সর হোসেন। তিনি ভাঙরের ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান। শনিবার দলীয় এক কর্মসভা থেকে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন ওই নেতা? জানা গেছে এলাকার মোট ১৪০০০ ভোটারের মধ্যে থেকে ১০০% ভোটই দাবি করেছেন তিনি। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিকেও পরোয়া না করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “যত আধাসামরিক দেবে, দিক। ভোগালি-২-তে খেলা হবে বিরোধীশূন্য। ১৪০০০ ভোটার হয়েছে। ১৪০০০-ই চাই।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যের সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা আরবুল ইসলাম। কিন্তু তাঁর সামনেই এমন দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনেই খেলা হওয়া নিয়ে সুর চড়ান ওই নেতা। তিনি স্পষ্টই বলেন, “আমার এলাকায় তৃণমূল ছাড়া কেউ ভোট দিতে যেতে পারবেন না। আমাদের ছেলেরা মাঠে থাকবে। বুথে থাকবে আধাসামরিক বাহিনী।” যাঁরা তৃণমূলে ভোট দেবেন না তাঁদের বাড়িতে শুয়ে থাকার নিদানও দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে জয়প্রকাশ মজুমদারের কটাক্ষ, ভাইপো অভিষেকের সুরেই কথা বলেছেন ওই নেতা। সমালোচনা করেছে সিপিএমও।