নিজস্ব প্রতিবেদন: কোন ওষুধ প্রয়োগে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে? এবিষয়ে সাধারণ জনতার বিভ্রান্তি কাটিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করলেন চিকিৎসাবিদ্যাদের একাংশ৷ বর্তমানে করোনা মহামারীর আকার নিয়েছে৷ এই সমস্যা ঠিক কবে মিটবে সেই কথাও জোর দিয়ে কেউ বলতে পারছে না৷ টিকা আবিষ্কার হতেও বেশ কিছুটা সময় লাগে যেতে পারে৷ আর টিকা আবিষ্কার হলেই যে করোনা পালাবে এমনটা ভাবা একপ্রকার বোকামি হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের৷
সম্প্রতি জেআইএস এডুকেশনাল গ্রুপের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী একটি ভার্চুয়াল সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘ভাইরাস কোনও বৈষম্য করে না, কীভাবে করোনাকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কুণাল সরকার সহ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস, অঙ্কলজিস্ট চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট জনেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের মতে, কোভিড সংকট এখনই শেষ হবে না। দীর্ঘ সময়কাল ধরে এর বিস্তার। এই কারণেই করোনাকে সঙ্গী করে বাঁচা শিখতে হবে৷
ইদানিং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাজারে একাধিক ইমিউনিটি বুস্টার পাওয়া যাচ্ছে৷ কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোনও ওষুধই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে পারে না৷ একমাত্র সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই শরীরকে কোভিড-১৯ এর সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকা যায়৷ চিকিৎসকদের মতে, প্রাতঃভ্রমণ, গায়ে রোদ লাগানো, কিংবা শরীর চর্চা ইত্যাদিই একমাত্র শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে৷ সম্প্রতি করোনা টিকা 'স্পুটনিক ভি' তৈরির জন্য ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তির কথা প্রকাশ্যে এসেছে৷ কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই টিকা কতদিন একজন মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখবে কিংবা কতখানি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে তা যাচাই করা এখনও বাকি আছে। খুব অল্প দিনেই টিকা আবিষ্কার৷ এর আগেও এর কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে সংশয় দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রেকর্ড হিসাবে 'ইবোলা' ভাইরাসের টিকা সবচেয়ে দ্রুত তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু সেটি তৈরিতেও সময় লেগেছিল ৩ বছর। সেখানে করোনা ভাইরাস সবেমাত্র ৮ মাস অতিক্রম করেছে৷