নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণে একসময় মহারাষ্ট্রের পরেই ছিল দিল্লির নাম। বিগত কয়েক মাস ধরে দিল্লির সংক্রমণের হার আশঙ্কা বাড়িয়েছিল গোটা দেশের। দিনপ্রতি সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে রাজধানীর। কিন্তু এখন চিত্রটা বদলে গেছে, অন্তত এমনটাই দাবি করছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর কথায়, দিল্লিতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চূড়ান্ত পর্যায়ে পেরিয়ে গিয়েছে। তাই রাজধানীতে আর লকডাউন করা হবে না, লকডাউনের আর প্রয়োজন নেই।
যদিও এই ঘোষণা করার পর দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমজনতাকে সতর্ক করে বলেছেন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, সকলকে মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু যেহেতু ভাইরাস পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে তাই লকডাউন আর করা হবে না রাজধানীতে। যদিও বিশেষজ্ঞদের কথায়, রাজধানী দিল্লির সার্বিক চিত্র একেবারেই সুখকর নয়। দিল্লির ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগের। সেই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রর ঘোষণা কতটা প্রভাব ফেলবে জনজীবনে, তা নিয়ে এখন থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, আইসিএমআর কর্তা বলরাম ভার্গভ।গত দু’সপ্তাহে দিল্লিতে করোনার প্রকোপ বেড়েছে, তাতে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর৷
অন্যদিকে, গত চার মাসে সবচেয়ে নীচে নামল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। এর ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছে ৮৮.৪৫ লাখ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০,৫৪৮ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ৮৮,৪৫,১২৭ জন। এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৪,৬৫,৪৭৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২,৪৯,৫৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩,৮৫১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৯৩.২৭%। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৩০,০৭০।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বুধবার বলেছে, ‘বিভিন্ন দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।’