কলকাতা: ‘ভোটের বদলে নোট’ মামলায় আর কোনও ছাড় পাবেন না সাংসদ-বিধায়করা৷ সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সংসদ হোক কিংবা বিধানসভা, কোনও আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ উঠলে, মিলবে কড়া শাস্তি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা যাবে৷ এক্ষেত্রে কোনও রক্ষাকবচও পাবেন না তাঁরা৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন এমনই রায় দিল৷
১৯৯৮ সালে পিভি নরসিমা রাও মামলায় পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সাংসদ এবং বিধায়কদের টাকার বিনিময়ে ভাষণ বা ভোট দেওয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। ৩:২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তাঁদের রায় ছিল সংবিধানের ১০৫(২) এবং ১৯৪ (২) ধারা অনুযায়ী সাংসদ কিংবা বিধায়করা ঘুষের বিনিময়ে সভায় বক্তব্য পেশ কিংবা ভোটদানের বদলে ঘুষ নিলে বিশেষ সুবিধাবলে ছাড় পাবেন। রক্ষাকবচ দিয়ে বলা হয়, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা যাবে না। এ ধরনের অভিযোগে ছাড় পাবেন বিধায়ক-সাংসদরা। সোমবার সেই নির্দেষ খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ৷ এদিন সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে জানায়, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক ঘুষ নিলে তাঁকে সংসদীয় রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না। ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা ভারতীয় সংবিধানের ১০৫ এবং ১৯৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এই যুক্তিতেই খারিজ হয়ে যায় পূর্বের রায়৷