কলকাতা: করোনা আবহে রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির ছবি এর আগেও সামনে এসেছে একাধিক বার। নানান সময়ে নানান বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শীতের মরশুমে আরও একবার সামনে এল রাজ্যের কোভিড হাসপাতালের অন্দরের চিত্র। আর বলা বাহুল্য, তাতে ফের উঠছে প্রশ্ন৷
জানুয়ারি মাসের কনকনে ঠান্ডায় কার্যত নাজেহাল রাজ্যের অন্যতম প্রধান কোভিড হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডিতে চিকিৎসাধীন রোগীরা, এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে একটি দৈনিক সংবাদপত্রে৷ ঠান্ডায় স্নান করার জন্য নাকি গরম জলই পাচ্ছেন না কোনো রোগী। ফলে হাসপাতালে দিনের পর দিন স্নান না করেই থাকতে হচ্ছে রোগীদের। শুধু বেলেঘাটা আইডি নয়, রাজ্যের প্রায় সব কোভিড হাসপাতালের চিত্রই এক। কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, সমস্ত রোগীর জন্য গরম জলের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিক ভাবে জল আর সাবানকেই হাতিয়ার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গরম জলের অভাবে স্নান করতে না পেরে তাই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন শীতকালীন করোনা রোগীরা।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অনিমা হালদার ওই দৈনিক সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘‘কোভিড রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে কি না সেই দিকে নজর দেব, না গরম জল দেব!’’ সমস্যার কথা জানিয়েছেন হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়৷ দৈনিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘লেবার রুমে গিজার লাগানো রয়েছে। সমস্ত রোগীকে গরম জল দেওয়া অসম্ভব।’’ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত জল ও সাবান ব্যবহারের বিকল্প নেই। সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চাইলেই সবার জন্য গরম জলের ব্যবস্থা করা সম্ভব৷ পাশাপাশি হাসপাতালে ওয়াশিং মেশিন থাকলে গিজার থাকতে পারে না কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। শহরের ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিমারী আবহে শীতে উষ্ণ গরম জল দিয়ে নিয়মিত স্নান করাই শ্রেয়। বিশেষত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে স্নান অতি আবশ্যিক। কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে সে পরিষেবায় সমস্যা রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য, মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷