নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারীর কারণে এবারের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কোনও বিদেশি অতিথি থাকছেন না বলে জানানল বিদেশমন্ত্রক। আজ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতির কারণে, এবছর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমাদের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কোনও বিদেশি সরকারের প্রধান বা সরকারি কর্তা উপস্থিত থাকবেন না।” ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। পরে সেদেশের বিদেশ সচিব ডোমিনিক রাব এদেশে ডিসেম্বরে আসেন, তিনি জানেন আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি ভারতে আসবেন।
তারপরেই আবার দেখা দেয় করোনার নয়া স্ট্রেইন। ফলে বাধ্য হয়েই ভারত সফর বাতিল করা ঘোষণা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, তিনি জাানিয়ে দেন, এই মুহুর্তে করোনা মোকাবিলার জন্য তাঁর নিজের দেশে থাকা জরুরি। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “পরিকল্পনা মাফিক এ বছরের শেষ সপ্তাহে ভারতে আসার বিষয়টি বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।”
আগামিকাল ভারতে টিকাকরণ করম্সূচীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে পৌছে গিয়েছে ওক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক-আইসিএমআরের কোভ্যাক্সিন টিকা। প্রথম পর্যায়ের ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২ কোটি ২ কোটি করোনা যোদ্ধাদের টিকা প্রদানের কর্মসূচী নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন মানুষকে প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এদিকে, গত ৭ দিনে ভারতে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে গত ২০ দিনে মৃত্যুর হারও ক্রমশই কমেছে, দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে বারতে করোনার বলি ৩০০ এর কম। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংংখ্যান অনুযায়ী করোনায় মৃত্যুতে জাতীয় গড়ের থেকে ২২টি রাজ্যে মৃত্যুর গড় কম। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য প্রাথমিকভাবে ১.৬৫ ডোজ কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।