কলকাতা: রাজ্য সরকারের পরীক্ষার সময়ের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটা। তাঁদের দাবি অক্টোবরে পরীক্ষা নিলে পড়ুয়াদের সমস্যা হবে, দেরি হয়ে যাবে। তবে পরীক্ষা কবে বা কখন হতে পারে সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যা্রয়োজন হলে লয়ের হাতেই দেওয়া হোক, বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে আর্জিও জানাল অধ্যাপক সংগঠন।
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে তাঁদের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় অক্টোবরেই রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে উপাচার্যদের আপত্তি না থাকলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে কেউই রাজি হতে পারেননি। তাঁদের অধিকাংশেরই মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা না নিয়ে বাড়িতে বসেই বা অনলাইনে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিলেই ভালো। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই সাবধানতা নিয়ে সরব উপাচার্যরা প্রায় সবাই। পাশাপাশি জানানো হয়, প্রয়োজন মনে করলে ওপেন বুক মাধ্যমে বা অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। পরীক্ষার অক্টোবরেই ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পঠনপাঠন কীভাবে পরিচালনা করা হবে, ফাইনাল সেমিস্টার কীভাবে নেওয়া যেতে পারে, সেবিষয়ে উপাচার্যদের মতামত বিশদে জানতেই এই বৈঠক ডাকা হয়। সোমবার দুপুরে উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে, পরীক্ষা নিয়ে আলাদা করে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে না।
আগামী ১-১৮ অক্টোবরের মধ্যেই পরীক্ষার নেওয়ার কাজ শেষ করবে ইউজিসি অধীনস্থ কলেজগুলো। করোনার আবহের মধ্যেই শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি সুদূরপ্রসারী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় সরাসরি ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাস ঠিক কতটা প্রয়োজন মেটাতে পারছে তা নিয়ে ধন্দে শুধু পড়ুয়ারা নয় শিক্ষক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরাও। ফলে সেসব সমস্যা মেটাতেই একযোগে বসে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে সরকার।