নয়াদিল্লি: সীমান্তে চিনের আগ্রাসন নীতির প্রতিবাদে সেই দেশের পণ্য বয়কটের সুর আগেই শোনা গিয়েছিল নেটিজেনদের মধ্যে। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে টেলিকম মন্ত্রকের তরফে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) ও মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (এমটিএনএল) সংস্থাদু'টিকে চিনা সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার পরিবর্তে দেশীয় সংস্থার কাছে থেকে নিতে হবে সামগ্রী। ৪জি পরিষেবার উন্নতিসাধনে নতুন করে ডাকতে হবে টেন্ডার। কেন্দ্রের এই কড়া নির্দেশের নেপথ্যে লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) চিনের হামলার ঘটনাই রয়েছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।
ভারত-চিন সীমান্তে গত সোমবারের ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। ওদিকে চিন পাল্টা জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ৪৩ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চিনা সামগ্রী বয়কটের রব ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও কেন্দ্রের তরফে এমন কিছু নির্দেশ তখনও দেওয়া হয়নি। অবশেষে বুধবার রাতে টেলিকম মন্ত্রকের তরফে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল-কে। তাদের ৪জি পরিষেবায় ব্যবহার করা যাবে না চিনা যন্ত্র।
সংবাদ সূত্রে আরও জানা গেছে, চিনা সংস্থার সঙ্গে পুরনো টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে যে টেন্ডার ডাকা হবে, তাতে চিনা সংস্থা যাতে অংশ নিতে না পারে, সেভাবেই তৈরি করতে হবে নিয়ম। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে এই নির্দেশ না দেওয়া হলেও, সেরকমই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র, এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের একাংশের। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল এতদিন জেডটিই সংস্থার সঙ্গেই কাজ করে। অন্যদিকে এয়ারটেল, ভোডাফোনের মতো সংস্থাগুলি কাজ করে হুয়াই-এর সঙ্গে।
গালওয়ান উপত্যকায় সোমবারের ঘটনায় চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, 'সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভারত আগাগোড়াই দায়িত্বশীল আচরণ করে এসেছে৷ তবুও যে ঘটনা ঘটেছে, তার সবটাই ভারতের এলাকার মধ্যে করা হয়েছে৷' এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন নেটিজেনদের বৃহত্তর অংশ।