নেই অফিসে উপস্থিতির কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা, বাড়ছে বিভ্রান্তি, বৈষম্যের ক্ষোভ

নেই অফিসে উপস্থিতির কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা, বাড়ছে বিভ্রান্তি, বৈষম্যের ক্ষোভ

 

কলকাতা: দেশে করোনা অতিমারীর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নিয়মিত নিউ-নর্মালে দেশে ফিরেছে সচলতা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে সরকার তরফে জারি হয়নি কোনও বিজ্ঞপ্তি। পাশাপাশি, বিভিন্ন দফতরে উপস্থিতির ব্যাপারে যে ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তাতে রয়েছে বিস্তর তারতম্য। যার ফলস্বরূপ কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভের।

সরকার সূত্রে কিছুদিন আগে সরকারি কর্মীদের অফিসে উপস্থিতির ব্যাপারে একটি সাময়িক নির্দেশিকা জারি করা হয়। এ নির্দেশিকা অনুযায়ী একমাত্র কৃষি দফতরের কর্মীদের প্রতি কর্মদিবসে অফিসে আসার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই নির্দেশিকায় শ্রম, কারিগরি শিক্ষা, কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের কর্মীদের উপস্থিতির ব্যাপারেও বলা হয়েছিল। খাদ্যদফতর কয়েকদিন আগে কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাতে সচিবালয়ের কর্মীদের সপ্তাহে চারদিন কাজ করার কথা বলা হয়েছে। অর্থদফতরের আইন সেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, হেড অ্যাসিন্ট্যান্ট ও তার থেকে উচ্চ পদের আধিকারিকদের প্রতিদিন অফিস করতে বলা হয়েছে এবং অন্য কর্মীদের জন্য রোস্টার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই কর্মীদের সপ্তাহ দুই থেকে তিন দিন অফিস করতে হবে। যে দফতরগুলি এখনও কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি, সেখানে আগের ব্যবস্থাই চলছে বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর কারণে দেশে ঘোষিত লকডাউনের পর সরকারি অফিসগুলি খোলা হয় গতবছর ৮ জুন। ওই সময়ের উপস্থিতির নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ডেপুটি সেক্রেটারি ও সমতুল পদের আধিকারিকদের থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতনদের প্রতিদিন অফিসে আসতে হবে এবং অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে সর্বাধিক ৫০ শতাংশকে অফিসে আসতে হবে। এর ভিত্তিতে কোন কর্মী কবে আসবেন, সে বিষয়ে একটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছিল প্রতিটি অফিসেই। আর উপস্থিতির বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ার কারণে কোনো কোনো অফিসে এখনো সেই রোস্টারের ভিত্তিতে অফিসে আসছেন কর্মীরা। যার ফলে কোনও অফিসে কর্মীদের প্রতিটি কাজের দিনে আসতে হচ্ছে। আবার কোথাও সপ্তাহে দু’-তিন দিন এলেই চলছে। উপস্থিতির এই বৈষম্যর জন্য কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। কোনও কোনও অফিসে শনি-রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিনেও কাজ করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণের জন্য কর্মীদের বেশি কাজ করতে হচ্ছে। আর এই কারণে কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি ও বৈষম্যের, যার প্রতিকার একমাত্র সরকারি নির্দেশিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *