নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। লক ডাউন ঘোষণার ফলে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে করোনা পরিস্থিতিতে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আয়কর, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি), শুল্ক, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নিয়মে শিথিলতার কথা শোনা গেল অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায়।
মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী জানান, গত অর্থবর্ষের আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৩০ জুন করা হয়েছে সেই সময়সীমা। ৫ কোটি টাকার কম টার্নওভার রয়েছে, এমন সংস্থার লেট ফি মকুব করা হয়েছে। ৫ কোটি টাকার লেনদেনের বেশি সংস্থার লেট ফি কমিয়ে করা হয়েছে ৯ শতাংশ। যা আগে ১৮ শতাংশ ছিল। বড় সংস্থার ক্ষেত্রে ১৫ দিওন পরে লেট পেমেন্ট করলেও কোনও সুদ দিতে হবে না বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ডের সংযুক্তিকরণের সময়সীমাও করা হয়েছে ৩০ জুন। এমনকী, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের জিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
একাধিক রাজ্যে লক ডাউন। এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে শুল্ক দফতর, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এটিএম ব্যবহার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা রাখার নিয়মও শিথিল করা হয়েছে। যতবার খুশি, যেকোনও এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। তার জন্য আলাদা কোনও চার্জ দিতে হবে না। তিন মাসের জন্য এই নিয়ম চালু থাকবে। এমনকী, অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না থাকলেও এই সময়ে অতিরিক্ত কোনও চার্জ লাগবে না।
এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, সব কা বিশ্বাস প্রকল্পের ওপর দেশবাসীর আস্থা রয়েছে। এই প্রকল্পের টাকা মেটানোর সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। এর ফলে কর্মীদের সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও মাথায় রাখছে অর্থমন্ত্রক। করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা হতো ৭ দিনে। নতুন নিয়ম অনুসারে তা ৩ দিনের মধ্যেই করতে হবে।