কলকাতা: দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় এবার জায়গা পেল দেববৈদ্য ধন্বন্তরি! মডার্ন মেডিসিন বা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা-শিক্ষার সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর লোগোতে এবার থেকে থাকবে হিন্দু দেবতার ছবি৷ আর এরই বিরোধিতায় সুর চড়াল বিরোধীরা।
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মোদী সরকারের গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, “কাজের বেলায় নেই, রেল থেকে স্বাস্থ্য সবকিছুকে শুধু গেরুয়া বানিয়ে দিতে চাইছে!”
মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই এবার উঠল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের অভিযোগ৷ এনএমসির প্রতীক থেকে অশোক স্তম্ভকে সরিয়ে বসানো হল ধন্বন্তরীর মূর্তি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়৷
তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এনএমসির লোগো পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনও। শান্তনুর কথায়, “এটা কিছুটেই বরদাস্ত করা হবে না। অশোকস্তম্ভ দেশের ঐতিহ্য। তাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া মানব না।”
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী দেবতাদের চিকিৎসক হলেন ধন্বন্তরি। আবার অনেকে তাঁকে বিষ্ণুর অবতারও বলে থাকেন। পুরাণ অনুযায়ী ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদের দেবতা৷ কিন্তু প্রশ্ন হল ভারতের মতো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থায় আচমকা হিন্দু দেবতার ছবি কেন? চিকিৎসক সংগঠন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, ‘‘মেডিক্যাল শিক্ষা সর্বদাই ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত ও বিজ্ঞানসম্মত হওয়া উচিত। এনএমসির এই পদক্ষেপ ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ চিন্তাধারার উপর আঘাত৷’’