পাটনা: কড়া টক্কর দেওয়ার পরেও বিজেপি জোটকে বিহারে হারাতে পারেনি বিরোধীরা। বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছে এনডিএ জোট। কিন্তু জয়ের পরেও কিছুটা ধন্দ তৈরি হয়েছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই বিষয়ে। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিল বিজেপি। তাদের তরফে স্পষ্ট জানানো হল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশ কুমারই, এতে কোনও সন্দেহ নেই।
বিজেপি তরফে বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতি মত কাজ করবে তারা। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ, প্রতিশ্রুতি মতোই কাজ হবে। নীতীশের জায়গায় অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এমন কখনোই সম্ভব নয়। এদিকে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা সুশীল মোদিও স্পষ্ট কথা বলে জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার হবেন এতে কোনও সন্দেহ নেই। অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে তিনি জানান, বিহারের মানুষ তাদের ওপর বিগত বছরগুলিতে ভরসা রেখেছে, এবারেও রাখল। মানুষের উন্নয়নে কাজ করবে সরকার, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আরও উন্নয়ন হবে বিহারের। সুশীলের কথায়, কেউ বেশি আসন জিতবে, কেউ কম। কিন্তু সকলেই একে অপরের সঙ্গী। কাই নীতীশ কুমার যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন, এতে কোনরকম দ্বিধা করার কোনও জায়গা নেই।
উল্লেখ্য, আসন সংখ্যা নীতীশ কুমারের দলের থেকে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। এর পরেই একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, যে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ কুমার থাকবেন কিনা। কারণ এর আগে, বিজেপির কেউ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেননি। তাই এবারের প্রত্যক্ষভাবে সুযোগ ছিল বিজেপির। কিন্তু, অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তারা স্পষ্ট করেছে, নীতীশ কুমারের ওপরেই তাদের ভরসা। তিনিই হবেন বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, বিহারের সাফল্য আসার পর হিন্দিতে ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘গণতন্ত্রের প্রথম শিক্ষা বিশ্বকে শিখিয়েছে বিহার। বিহার আজ আবার বিশ্বকে বলেছে যে গণতন্ত্র কতটা শক্তিশালী। বিহারের রেকর্ড সংখ্যক গরিব, বঞ্চিত ও মহিলারা এ বার ভোট দিয়েছেন এবং উন্নয়নের পক্ষে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।’