এবার ভারতীয় সেনার অস্ত্র তৈরি করবে দেশীয় সংস্থা, নয়া ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ব্যাখ্যার চতুর্থ দিনে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নীতিই অনুসরণের কথা বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এদিন শিল্প পরিকাঠামো উন্নত করার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বড়সড় ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করার পরিবর্তে দেশীয় সংস্থাগুলির ওপরই ভরসা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।

1479fdafa17a6d7afcb6c05843924aa4

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ব্যাখ্যার চতুর্থ দিনে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নীতিই অনুসরণের কথা বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এদিন শিল্প পরিকাঠামো উন্নত করার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বড়সড় ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করার পরিবর্তে দেশীয় সংস্থাগুলির ওপরই ভরসা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।

চতুর্থ দফায় সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ৮টি ক্ষেত্রের উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে কয়লা, খনিজ, বিদ্যুৎ, বিমান ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলি উঠে এসেছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বদল আনার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী জানান, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি কর্পোরেটাইজেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সেগুলি যে বেসরকারিকরণ হবে না, তা তিনি নিশ্চিত করেছেন। অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগে কোনও আপত্তি নেই কেন্দ্রের।

আগে যেখানে বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ ছিল, তা বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অস্ত্র উৎপাদনে দেশীয় সংস্থাগুলি যাতে এগিয়ে আসতে পারে, তার আহ্বান জানিয়ে এদিন তিনি বলেন, 'মেক ইন ইন্ডিয়া নীতির ওপর জোর দিতে হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে। কিছু অস্ত্রশস্ত্র কোনও অবস্থাতেই বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে না। বরং দেশেই যাতে সেগুলি তৈরি করা যায়, তার উপর জোর দিতে হবে।'

এছাড়াও কয়লা শিল্পে বড়সড় বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের একচেটিয়া আধিপত্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তার পরিবর্তে ৫০০ কয়লা ব্লকে উত্তোলন করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। বদল আসছে বিমান পরিবহন শিল্পেও। পরিবহনের ক্ষেত্রে সময় কম লাগার পাশাপাশি পরিবেশ সহায়ক এবং জ্বালানির খরচ যাতে কম হয়, সেই উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর ফলে উপকৃত হবেন বিমান যাত্রীরাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *