ধৃত দেবেন্দ্র সিংয়ের তদন্ত করতে পারে এনআইএ, কটাক্ষ রাহুলের

ধৃত দেবেন্দ্র সিংয়ের তদন্ত করতে পারে এনআইএ, কটাক্ষ রাহুলের

নয়াদিল্লি:  কাশ্মীরের ধৃত ডিএসপি দেবেন্দ্র সিং-য়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযোগ কতটা গভীর , সেই বিষয়ে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করতে পারে এমআইএ। এই খবর প্রকাশ পেতেই ফের সরকার বিরোধী মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধি। তিনি অভিযোগ করেন, ধৃত দেবেন্দ্র সিংকে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই মামলার তদন্তভার এনআইএকে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে দেবেন্দ্র সিংয়ের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন , সেই বিষয়ে টুইটে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধি।

সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে নেমে এক হিজবুল মুজাহিদিন, এক লস্কর-ই-তইবা জঙ্গির সঙ্গে ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংকে গ্রেপ্তার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ধৃতদের জেরা করে তাদের পরিকল্পনা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। দেবেন্দ্র সিংকে গ্রেপ্তারের পর থেকে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। টুইট করে রাহুল গান্ধি ধৃত দেবেন্দ্র সিংয়ের দ্রুত বিচারের আর্জি জানান। সেই সঙ্গে টুইটারে একাধিক প্রশ্ন তোলেন।

তিনি টুইটে লেখেন, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ চুপ কেন? দেবেন্দ্র আর ক'জন জঙ্গিকে সাহায্য করেছে? পুলওয়ামায় দেবেন্দ্র সিংয়ের ভূমিকা কী ছিল?  তাঁকে কারা বাঁচাতে চাইছেন? এরপরে রাহুল গান্ধি বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, এনআইয়ের মাথায় রয়েছে আর এক মোদি। ওয়াই কে মোদি। তিনি গুজরাট দাঙ্গা ও হরেন পান্ডিয়া হত্যা মামলায় তদন্ত করেছিলেন।

দিন কয়েক আগে এই ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। টুইট করে প্রশ্ন করেন, ‘দেবেন্দ্র সিংয়ের বদলে ওই ডিএসপি’র নাম যদি দেবেন্দ্র খান হত। তাহলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-র ট্রোল রেজিমেন্টের আক্রমণ আরও তীব্র ও কৌতূকপূর্ণ হত। আমাদের দেশের শত্রুদের শরীরের রং, বর্ণ এবং ধর্ম নির্বিশেষে নিন্দিত হওয়া উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 3 =