ভোট পরবর্তী হিংসায় NHRC-র রিপোর্ট ধাঁধার মতো, ত্রুটিপূর্ণ, আদালতে সওয়াল সিঙ্ঘভির

ভোট পরবর্তী হিংসায় NHRC-র রিপোর্ট ধাঁধার মতো, ত্রুটিপূর্ণ, আদালতে সওয়াল সিঙ্ঘভির

d4e3bf00e0250202271f74484ad43aec

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দলের রিপোর্ট ধাঁধার মতো৷ এই রিপোর্ট ত্রুটিপূর্ণ৷ আদালতে জোড় সওয়াল অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির৷ তিনি বলেন, এই কমিটির দুই-তিন জন সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ সহজাত ভাবেই বোঝা যায় তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট৷ একজন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই রিপোর্ট খারিজ করা উচিত৷ সেখানে ২-৩ জনের কথা বলা হয়েছে৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দলের এই রিপোর্টকে কলুষিত বলে আখ্যা দেওয়া উচিত৷ আদালতে রাজ্য পুলিশের ডিজি’র হয়ে সওয়াল করলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি৷ 

আরও পড়ুন- খুদের বুদ্ধিতে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল স্টাফ স্পেশাল ক্যানিং লোকাল

হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী মামলার শুনানি চলার সময় সিঙ্ঘভি বলেন, এই কমিটির সদস্য রাজুলবেন এল দেশাইয়ের সঙ্গে সরাসরি বিজেপি’র যোগাযোগ রয়েছে৷ এই কমিটি ও তাঁদের রিপোর্ট গোটা প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছে৷ অভিযোগপত্রের ধরন দেখলে মনে হয় যেন আগে থেকেই তা তৈরি করে রাখা হয়েছিল৷ বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গেই ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও যোগ নেই৷ অভিযোগকারীদের বাংলায় জানানো অভিযোগ বদলে দিয়েছে কমিটি৷ বক্তব্যের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে৷ এমনটাই বললেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি৷  

প্রসঙ্গত, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার  অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। কমিটির প্রধান ছিলেন রাজীব জৈন৷ 

আরও পড়ুন- ‘নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে, মুখরক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা’, বাবুলের সিদ্ধান্তে ফের খোঁচা কুণালের

অন্যদিকে গতকাল মহেশ জেটমালানি বলেছিলেন, ভোট পরবর্তী অশান্তি যে হয়েছে, সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। অভিযোগকারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বলছে ২৯টি খুন হয়েছে। NHRC বলছে ৫২টি। পুলিশের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে NHRC র রিপোর্টে বিস্তর ফারাক। ৬০ শতাংশ অভিযোগই এখানে নেই। শুধু তাই নয়, পুলিশের খাতায় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ মাত্র ১২টি৷ সেখানে NHRC এর রিপোর্ট অনুযায়ী সেই সংখ্যা ৭৯। জেটমালানি আরও বলেন, রাজ্য NHRC র অনেক অভিযোগ মানতে নারাজ। এমনকী নিরপেক্ষতার প্রশ্নেও NHRC –র সদস্যদের আক্রমণ করেছে রাজ্য। অথচ ১,৩৫৬টি অভিযোগ রুজু না করেই রাজ্য সেগুলো খারিজ করে দিয়েছে। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *