তৃণমূলের পরবর্তী কর্মসমিতির বৈঠক দিল্লিতে, তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দলনেত্রীর

তৃণমূলের পরবর্তী কর্মসমিতির বৈঠক দিল্লিতে, তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দলনেত্রীর

কলকাতা:  এর আগে শুধুমাত্র চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ শুক্রবার গঠিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ সমিতি৷ ঘোষণা করা হয় পদাধিকারীদের নাম৷ গতকাল বৈঠক হয়েছিল কালিঘাটের বাড়িতে৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির পরবর্তী বৈঠক হবে দিল্লিতে৷ ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশের পরেই হবে এই বৈঠক৷ 

আরও পড়ুন- ‘পৃথক রাজ্যের দাবিতে মিছিল করলে হাঁটু আস্ত থাকবে না’, বিস্ফোরক উদয়ন

উল্লেখ্য আগামী সংসদ অধিবেশনের আগে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১০ মার্চের পর রাজধানীতে তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক সংগঠিত হবে৷ ইতিমধ্যেই দিল্লির বুকে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে যখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই সময় দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক নিশ্চিত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ৷ 

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যপালের পদের অপব্যবহার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে এমকে স্ট্যালিনের। সকল বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক করার আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকটিও সেই সময়ে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

 

এদিকে জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে পদ নির্দিষ্ট হওয়ার পর গোটা দলকে এক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়াতে দলের প্রচারই করতে হবে। কোনও ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা যাবে না। আবার এমন কিছু ব্যক্ত করা যাবে না যেটাকে দল অনুমোদন দেয় না। উল্লেখ্য, কর্মসমিতির বৈঠকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেছে নেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে তিনজন নেতাকে সহ সভাপতি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।