কলকাতা: করোনা এবং তার জেরে দীর্ঘ লকডাউনের জন্য পঠন-পাঠনের যে ক্ষতি এবছর হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাবর্ষে সময় কমে যাওয়ায় কম সময় পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে তাদের সার্বিক ভাবে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ইউজিসি নয়া নির্দেশিকা জারি করল। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরবর্তী দু’টি শিক্ষাবর্ষে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষাবর্ষ দেরিতে শুরু হওয়ায় আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের টানা ছুটির সংখ্যা কমাতে হবে৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে রবিবার উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে রাজ্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা ওয়েবকুটা’য়ের সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘এমনিতেই শিক্ষকরা সপ্তাহে ৬দিনই কাজ করেন। একদিন পি-ডে অর্থাৎ একদিনের সাপ্তাহিক ছুটি পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আশা করা যায় প্রস্তুতি-ছুটিতে ক্লাস নিতে আপত্তি করবেন না। বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে টানা ছুটি কমালেও তাঁরা তা মেনে নেবেন, এমনটাই কাম্য৷’’
তৃণমূলের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘অন্য রাজ্যে সপ্তাহে দুদিন অর্থাৎ শনি-রবি ছুটি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে ৬দিনই ক্লাস নেওয়া হয়। কিন্তু ছুটি কমানোর বিষয় ঠিক করতে গেলে আগে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা প্রয়োজন। বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস চলছে, নতুন শিক্ষাবর্ষে যারা ভর্তি হচ্ছে, তাদেরও বর্তমানে অনলাইনেই ক্লাস নেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তরফে বলা হয়েছে, সপ্তাহে যেহেতু ৬দিনই ক্লাস হয় তাই নতুন করে ক্লাস বাড়ানোর উপায় নেই। যাদবপুরে গরমের ছুটি দেওয়া হয়না, এমনকি পুজোতেও মাত্র ১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনে হস্তক্ষেপের জন্য ইউজিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যাদবপুরের শিক্ষক সমিতি৷