নয়াদিল্লি: জাতীয় শিক্ষানীতিতে ঢালাও পরিবর্তন আনল সিবিএসই। নয়া শিক্ষাবর্ষের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচি প্রকাশ করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই। আর সেই পাঠ্যসূচিতে সিলেবাসের পরিমাণ কিছুমাত্র না কমালেও পঠনপাঠনের পদ্ধতিতে বিশেষ জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। মুখস্থ বিদ্যার জায়গায় এবার ছাত্র-ছাত্রীদের পারদর্শিতার ওপর নজর রাখা হবে। পরীক্ষায় মুখস্থ ভিত্তিক প্রশ্নের থেকে দক্ষতা ভিত্তিক প্রশ্নের আধিক্য বৃদ্ধি পাবে। আর এই শিক্ষানীতি যাতে সফলভাবে রূপায়িত হয় তার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।
২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে এনসিইআরটি-এর গাইডলাইন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এই গাইডলাইনে কোনও ছাত্র-ছাত্রী কতটা শিখছে তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রুটিন পাঠদানের সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নতুন পদ্ধতিতে পঠন-পাঠনের প্রতি উৎসাহিত করতে বোর্ডের পক্ষ থেকে বিশেষ পথ অবলম্বন করা হবে। পঠন-পাঠন শুরুর আগে স্কুলগুলিকে এই সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে বদলে ফেলা হবে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি। বর্তমানে যেভাবে লার্নিং মডেল বা পড়া মুখস্ত করার পদ্ধতির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়, তার পরিবর্তন করে প্রতি মুহূর্তে তাদের সমস্যার সমাধান করে পারদর্শিতার ভিত্তিতে তাদের মান যাচাই করা হবে। এইজন্য সিবিএসই বোর্ড আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশ জুড়ে প্রায় ২৫০০০ স্কুলকে এই শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এজন্য প্রথম দফায় কিছু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয়, চন্ডিগড়ের কয়েকটি স্কুল ও সারা দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলকে বাছাই করা হয়েছে।