কলকাতা: সমুদ্রের সঙ্গে তাঁর গভীর সখ্য৷ সাগরতলের খোঁজ নিতে হামেশাই তিনি ডুব দেন অতল জলরাশির গভীরে৷ সেই সালটা ছিল ২০১৩৷ নিউ জার্সির গভীর সমুদ্রে নামলেন পল হেপলার। তিনি পেশায় ডুবুরি। সেদিন ম্যাগনেটোমিটার নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতা মাপতে নেমেছিলেন। আচমকাই ম্যাগনেটোমিটারের সিগনালে বদল ঘটে৷ পল বুঝতে পারেন, জলের গভীরে কোনও ধাতব বস্তু রয়েছে এবং তা আয়তনেও বিশাল।
আরও পড়ুন- পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ! বললেন বাইডেন! ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে পারবে পাকিস্তান?
রহস্যের গন্ধ পেয়ে সমুদ্রের আরও গভীরে ডুব দেন পল। সমুদ্রের প্রায় ৯০ ফুট (২৭ মিটার) গভীরে গিয়ে তিনি খুঁজে পান দুটি লোকোমোটিভ স্টিম ইঞ্জিন৷ কিন্তু সমুদ্রের তলদেশে তো কোনও রেললাইন নেই! তা হলে এই ইঞ্জিন দু’টি এল কী করে?
নিউ জার্সির লং ব্রাঞ্চ উপকূল থেকে আট কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে এই রেল ইঞ্জিন দু’টির হদিশ মেলে৷ তা নিয়ে শুরু হয় পরীক্ষানিরীক্ষা৷ জানা যায়, ইঞ্জিন দু’টি প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো।
রহস্য উদঘাটনে ইতিহাসের পাতায় ডুব দেন ইতিহাসবিদরা৷ তাঁদের আশা ছিল হয়তো অতীতের কোনও ঘটনার হদিশ পাবেন তাঁরা৷ হয়তো মিলবে কোনও তথ্য৷ কিন্তু, কোনও কিছুই উদ্ধার হয়নি। কোনও তথ্য মেলেনি৷ তবে জানা যায়, গভীর সমুদ্রে যে লোকোমোটিভটির খোঁজ মিলেছিল, সেটি খুব সহজলভ্যও ছিল না। ক্লাস ২-২-২-টি মডেলের এই লোকোমোটিভটি খুব কম সময়ের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
সাধারণত স্টিম ইঞ্জিনের ওজন হয় ৩১,৭৫১ কেজির মতো। তুলনায় এই লোকোমোটিভটির ওজন অনেকটাই কম। দেখা যায়, এর ওজন ১৩,৬০৭ কেজি। ইতিহাসবিদদের অনুমান, এই ইঞ্জিনগুলি জাহাজে করে বস্টন থেকে মধ্য আটলান্টিকের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় হয়তো সামুদ্রিক ঝড়ের মুখে পড়ে ইঞ্জিন বোঝাই জাহাজটি৷ যার ফলে, ইঞ্জিন দু’টি জলের গভীরে তলিয়ে যায়। তবে ইতিহাসবিদদেরই একাংশ বলছেন, এই অনুমান সঠিক নাও হতে পারে। হয়তো কোনও কারণে সমুদ্রের মাঝে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এই ইঞ্জিন দু’টি।
উল্লেখ্য, নিউ জার্সি ট্রান্সপোর্টেশন মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে এই দু’টি রেল ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>