নয়াদিল্লি: ফ্রান্স থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রথম থেকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রথম থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে এই ইস্যু নিয়ে অনেকদূর গড়ালেও আখেরে কিছু হয়নি। ভারতের ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে রাফাল যুদ্ধবিমান। কিন্তু এখন ফের একবার এই বিষয় নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জানা গিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসো চুক্তির পর ক্রেতাকে প্রায় ৯ কোটি টাকা দিয়েছিল! যদিও ঠিক কি কারণে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। মূলত ফ্রান্সের এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট এই গোটা বিষয়টিকে নজরে এনেছে সকলের।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালেই এই টাকা দেওয়ার ব্যাপারে জেনে গিয়েছিল ফ্রান্সের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে রাফাল যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা জানায় যে এই অর্থ ভারতীয় সাব-কন্ট্রাক্টরদের দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধবিমানের নমুনা তৈরীর জন্য। যদিও হঠাৎ কেন নমুনা যুদ্ধ বিমান তৈরি করতে হল সে ব্যাপারে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি সেই সংস্থা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আদতে কোন নমুনা যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত প্রমাণ মেলেনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার হিসাব পরীক্ষা করে এই টাকার ব্যাপারে জানতে পারে ফরাসি দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। পরে তারা জানতে পারে, টাকার অংক যা দেখানো হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি ব্যয় করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাফাল চুক্তি অনুযায়ী ভারত ৩৬ টি যুদ্ধবিমান পাবে যা ২০২২ সালের মধ্যে আসার কথা।
রাফাল যুদ্ধবিমান ইস্যু নিয়ে কোন বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি ভারতের রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রায় প্রত্যেক সাংবাদিক বৈঠকে এই ইস্যু তুলে বিজেপির সরকারকে আক্রমণ করতেন। যদিও সেই সময়ে আখেরে কোন লাভ করতে পারেনি কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।