‘মেয়েরা তো পরের সম্পত্তি’, মমতাকে বিঁধতে গিয়ে তুমুল বিতর্কে বাবুল

লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এদিন বাবুল সুপ্রিয়ের মন্তব্যকে সমর্থন করেননি

9ade1bca9c6c4fb971b2fad195912c53

 

কলকাতা: ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নতুন স্লোগান কর্মীমহলে রীতিমতো জনপ্রিয়। আর সেই সঙ্গে স্লোগানের পাল্টা বিরোধিতায় মেতেছে বিপক্ষ শিবিরও। নানাভাবে শাসকদলের নতুন স্লোগানকে কটাক্ষ করেছেন বাম-কংগ্রেস কিংবা বিজেপি নেতারা। তবে বিরোধিতা করতে গিয়েই এবার বিতর্কে জড়ালেন গেরুয়া নেতা বাবুল সুপ্রিয়।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর একটি ট্যুইটকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক রসিকতা করতে গিয়ে নিজেই পাল্টা অস্বস্তিতে পড়ে যান বাবুল সুপ্রিয়। তিনি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এদিন শেয়ার করেছিলেন একটি মিম, যেখানে ঘাসফুলের নতুন স্লোগানকে নিয়ে বিদ্রুপ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নারীদের অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে বাবুল সুপ্রিয়ের ওই পোস্টের বিরুদ্ধে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ঘটনার সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।

ঠিক কী ছিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের গেরুয়া সাংসদের ট্যুইটে? জানা গেছে, তিনি যে মিম শেয়ার করেছিলেন তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে লেখা ছিল তৃণমূলের স্লোগান “বাংলার ঘরের মেয়ে”। এর সঙ্গে ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবিও। তাতে লেখা, “মেয়েরা তো পরের সম্পত্তি হয়, এবার বিদায় করে দেবো।” বলা বাহুল্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ধরণের পোস্টে খুশি হতে পারেননি অধিকাংশ নেটিজেনরাই। ফলে ট্যুইটের পর থেকেই একের পর এক উড়ে আসতে থাকে নিন্দার ঝড়। গেরুয়া নেতার প্রতি নেট নাগরিকদের অভিযোগ, মেয়েদের পরের ধন বলে উল্লেখ করে তিনি আদতে তাঁদের অসম্মান করেছেন।

বাবুল সুপ্রিয়ের পোস্টকে সমর্থন করেননি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন এই ধরণের মতে বিশ্বাসী নন তিনি। তাঁর কথায়, “মা বাবার মেয়ে মা বাবারই থাকে৷ সে পরের ঘরে গেলেও সেখানেও মেয়ে হয়েই যায়।” বিতর্কের মুখে তড়িঘড়ি ট্যুইটটি মুছে দেন বাবুল সুপ্রিয়। পরে টুইটারে বাবুল লেখেন (অপরিবর্তিত), ‘‘এটুকুই বলব যে এটি একটি বহুল-প্রচারিত meme•বেশ কয়েকদিন ধরে এটি সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে•এই মিম-টি আমার বানানোও নয় বা আমার দেওয়া কোনো বিবৃতিও নয়•আমার দুটি মেয়ে আছে কাজেই অন্য কোনো ‘রাজনৈতিক’ দলের কাছ থেকে (TMC-ই হোক বা বাম-কংগ্রেস হোক) misogyny-র definition শিখতে হবে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *