মুম্বই: অর্থিক সমস্যায় ধুঁকতে থাকা বর্ষীয়ান শিল্পীদের সম্মানজনকভাবে সহায়তা করার চিত্রটা ভারতে নতুন কিছু নয়। আর এরকমই একটি চিত্র দেখা গেল ‘ইন্ডিয়ান আইডল-১২’ নামের একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো’র মঞ্চে৷ খ্যাতনামা গায়িকা নেহা কক্কর নিজেকে বর্ষীয়ান গীতিকার সন্তোষ আনন্দের ‘নাতনির মতো’ ঘোষণা করে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকার সহায়তা করেন৷ যদিও, এই ঘটনায় নেহা কক্করের আবেগঘন এবং বিদারিত মুহূর্ত সহ সন্তোষ আনন্দের করুন জীবনকাহিনীকে দর্শকমহলের একাংশ চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর কৌশল বলে অভিযোগ তুলেছেন।
এই ঘটনাপ্রসঙ্গে তারকামহলে চর্চার ঝড় উঠেছে। সন্তোষ আনন্দের সমসাময়িক গীতিকার ও কবি মনোজ মুন্তাশীর তার এক টুইটবার্তায় গায়িকা নেহা কক্কর ও চ্যানেলকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “আনন্দ একজন গীতিকার হিসেবে সম্মানের জীবন অতিবাহিত করেছেন। কোনো রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে তার এই করুন জীবনের গল্পকে বিক্রি করে চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি। এগুলি এখন স্রষ্টার প্রতি অসম্মানজনক৷”
তবে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু বর্ষীয়ান গীতিকার সন্তোষ আনন্দ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “নেহা নিজেকে আমার ‘নাতনির মতো’ বলে আমাকে ভালোবেসে এই টাকা দিয়েছে। প্রথমে এই টাকা আমি নিতে চাইনি। কিন্তু নেহা’র ভালোবাসাকে সম্মান জানিয়ে আমি এই টাকা নিয়েছি৷” পাশাপাশি ওমর উজ্জ্বলা’র নেওয়া সন্তোষ আনন্দের একটি সাক্ষাৎকারে গীতিকার বলেছেন, “একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দুবেলা দুমুঠো খেতে পাওয়াই যথেষ্ট। আমি একজন স্বনির্ভর এবং আমার আত্মসম্মান আছে। আমি কারো কাছে সাহায্যের জন্য যাইনি, কারণ টাকা পৃথিবীর সবকিছু নয়, বেঁচে থাকার জন্য ভালোবাসা ও সম্মান থাকা জরুরি। আমি আমার জীবনে টাকা ও সম্মান দুইই লাভ করেছি। নেহা খুব ভালো একজন মানুষ। তার ওর নাতনির মতো ভালোবাসার সম্মান জানাতেই আমি এই টাকা গ্রহণ করেছি৷”