নয়াদিল্লি: ডাক্তারির স্নাতক স্তরে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ৷ নিট বালিত করার দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছে৷ এই অবস্থায় নিট নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হল৷ বিস্তর অনিয়ম এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রথম থেকেই ছিল। এ বার নিট দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলচক্রী, বিহারের বাসিন্দা অমিত আনন্দ। সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অমিত জানিয়েছেন, চড়া দামে প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হয়েছে৷ ৩০-৩২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়াদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল!
চলতি বছর ৫ মে নিট পরীক্ষা হয়। অমিত জানান, পরীক্ষার আগের দিন, অর্থাৎ ৪ মে তাঁর হাতে প্রশ্নপত্র আসে। যে সকল পরীক্ষার্থী টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। অমিত নিজে বেআইনি ভাবে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। তাঁর আসল বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলায় হলেও, কাজের সুবিধার্থে পটনার এজি কলোনির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। অমিতের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পাটনার শাস্ত্রীনগর থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে বিহারের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা (ইএইউ)।