nc
নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি। অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের অনুগামীরা সেখানে ধারাবাহিকভাবে গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছেন। আর শাহজাহান বেপাত্তা হওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালির মানুষ ক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ করছেন তাঁরা। এমনকী মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হতো বলেও অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জাতীয় তফসিলি কমিশন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্য সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। জানা গিয়েছে তিন দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে হবে। সেই রিপোর্ট যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে জাতীয় তফসিলি কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন। সন্দেশখালি কাণ্ডের পর ৩৬ দিন কেটে গেলেও এখনও বেপাত্তা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন সেখানকার মহিলারা। এর মধ্যেই শনিবার রাতে উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাতে কিছুটা হলেও ক্ষোভ মিটেছে গ্রামবাসীদের।
এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চাপানউতোর পর্ব শুরু হয়েছে। এর আগে সন্দেশখালির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার আসরে নামল জাতীয় তফসিলি কমিশন। এর আগেও একাধিক ইস্যুতে জাতীয় তফসিলি কমিশন রিপোর্ট করেছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। যা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ দেখা দিয়েছে। এবারেও তেমনটা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।