কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এক ছাতার নীচে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ আপাতত মুম্বইয়ের বৈঠকে আগামীর রণকৌশল ছকে নিতে মিলিত হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আগামী দিনে জোটের আকার আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের সঙ্গে জোট গড়ে ভোটে লড়া নতুন দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টও কি হাত মেলাবে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে? এ প্রসঙ্গ আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, তৃণমূল না থাকলে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি থাকত না তাঁর। কিন্তু, এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা তৃণমূল৷
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাশীপুরে একটি খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির৷ সেই ঘটনায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ভবানীভবনে। সেখান থেকে বেরিয়ে নওসাদ বলেন, সিআইডি ডাকলে আবার আসব৷ যদিও এর আগেও একবার তাঁকে তলব করেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। এদিন প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ককে। বৃহস্পতিবার রাতে ভবানীভবন থেকে বেরিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অফিসাররা ভাল, তবে সংখ্যায় খুব কম। আরও সিআইডি অফিসার নিয়োগ করার কথা ভাবা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।”
এরপরই তাঁকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। বিজেপি বিরোধী জোটে কি সামিল হবে আইএসএফ? জবাবে নওসাদ সাফ বলেন, এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল না থাকলে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে কোনও বাধা ছিল না আইএসএফ-এর। সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর প্রতি তাঁর ভালোলাগার কথাও প্রকাশ করেন নওসাদ। ফুরফুরার পীরজাদা জানান, রাহুল গান্ধীকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দ করেন। এককথায় রাহুলে মুগ্ধ তিনি৷ শুধুমাত্র তৃণমূলের প্রতি বিতৃষ্ণার কারণেই ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে না তাঁর দল৷